পরিবর্তনের হাওয়ায় উড়ছে বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৭ জুন, ২০১৫, ০৫:৩৮:৪৬ বিকাল
প্রায় চার দশক আগে এদেশে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধার সঙ্গে বন্যা যুক্ত হয়ে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। অবস্থা এমনই সঙ্গিন হয়ে উঠেছিল যে, তখন আমদানি করা খাদ্য সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল ১০ লাখের বেশি মানুষ ঐ দুর্ভিক্ষে মৃত্যুবরণ করেছিল। তবে এক সময়ের 'ফুড বাস্কেট কেস' এখন খাদ্যঝুড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। এই দেশটিই হয়ে উঠেছে বাদবাকি বিশ্বের কাছে ক্ষুধা হ্রাসের মডেল। জাতিসংঘের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ চরম ক্ষুধা অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, বৈশ্বিক ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ১৯৯০ সালের একশ' কোটি থেকে কমে এখন ৭৯ কোটি ৫০ লাখে দাঁড়িয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এক উজ্জ্বল স্পটে পরিণত হয়েছে। গত ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মতো আরও দুটি দেশের ক্ষুধা হ্রাসের ক্ষেত্রে সাফল্যের কাহিনী রয়েছে। দেশ দুটি হলো ইথিওপিয়া ও নেপাল। এই তিনটি দেশের সাফল্য বিশ্ব থেকে ক্ষুধা নির্মূলে আশা জাগায়। ১৯৮০'র দশক থেকে চাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিপ্লব দেশটিকে চাল আমদানিকারক থেকে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করে। কৃষিতে যান্ত্রিক চাষ, সেচ, নারীশিক্ষার পাশাপাশি বিশেষভাবে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের ওপর জোর দেওয়ার যোগফল হিসেবে চরম ক্ষুধার দেশ বলে পরিচিতি বাংলাদেশের পুরনো ইমেজ মুছে যায়। দারিদ্র্য ও ক্ষুধা হ্রাসের যে তিনটি চলক রয়েছে, তার সবই বাংলাদেশে সাধিত হচ্ছে। নিয়মিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানব উন্নয়ন, নিরাপত্তা বলয় যার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় যেসব মানুষ অংশ নিতে পারে না সেই সমাজের নিম্নতম অবস্থানে থাকা মানুষদের কাছে নগদ অর্থ ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া এসব একত্রে ক্রিয়া করে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার হারকে হ্রাস করে। বাংলাদেশের সরকার যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে তা অন্যত্র দেখা যায়নি। সরকার সংস্কার ও সামাজিক অগ্রগতি অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন