নিজামী-মুজাহিদরা যে অপরাধ করেছে, তা বর্ণনার অতীত। সর্বোচ্চ শাস্তিও তাদের জন্য যথেষ্ট নয়
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২১ জুন, ২০১৫, ০৩:২৪:২৫ দুপুর
আদালতে গেলেও আইনের ফাঁক ফোকর গলিয়ে ইতিহাস অস্বীকার করা আইনের এক ধরনের অপব্যবহার। ইতিহাসের সত্য প্রতিষ্ঠা করাই আইনের কাজ, যেটি স্বাধীনতার ঘোষণা সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি খায়রুল হক করেছিলেন। নিজামী-মুজাহিদ এরা শিক্ষকদের হত্যা করেছেন। কোন অজুহাতে তাদের দণ্ড হ্রাস, কেউ মেনে নিতে পারে না। আইনের দোহাই দিয়েও। আমরা সবশেষে বলতে চাই, নিজামী-মুজাহিদরা যে অপরাধ করেছে, তা বর্ণনার অতীত। কিভাবে একটির পর একটি আঙ্গুল, হাত-পা কেটে, চক্ষু উৎপাটন করে, গায়ের চামড়া তুলে নুন-মরিচ দিয়ে, অত্যাচার করেছে, উল্লাস করেছে। সাদেক খান টাইপের লোকজনের মা, মেয়ে, বোন, স্ত্রীকে যদি আলবদরদের হাতে তুলে দেয়া হতো, তাহলে তারা বুঝতেন বেদনা কী, অবশ্য এ সব মানসিকতার লোক তাতে খুশি হতো। কারণ ধর্ষণ করলে পাকিস্তানীরাই তো করছে। মারহাবা! অত্যাচার করলে তো পাকিস্তানীরাই করেছে মারহাবা! মারহাবা! যারা রায় দেন তারাও যেন অনুধাবন করেন, গণহত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হয় না, ধর্ষণের সাক্ষী হয় না, এবং এ সব অপরাধের জন্য যাবজ্জীবন নামমাত্র শাস্তি। সেটি আইনের অপব্যবহার। আমাদের দেশে এ ধরনের একটি ঝোঁক বাড়ছে যে, খুনীদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে, ভিকটিমের নয়। খুনীদের মৃত্যুদন্ড দেয়া যাবে না। যে মারা গেছে, সে তো গেছে। সে মরতে গেল কেন? দুঃখ এই যে, মুজাহিদ-নিজামী-সাকা চৌধুরী -মীর কাশেমের মতো খুনীরা সব জায়গায় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে কষ্ট না পেয়ে মারা যাবে। সে জন্যই সর্বোচ্চ শাস্তিও তাদের জন্য যথেষ্ট নয়।
বিষয়: বিবিধ
১০২৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন