বাহিনী প্রধানগণের এই সফর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ জুন, ২০১৫, ০৭:১০:২৭ সন্ধ্যা
পারস্পরিক সফর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোকে তাদের প্রশিক্ষণের ধরন এবং উৎকর্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। ভারতীয় সেনাপ্রধানের উপস্থিতি বাংলাদেশের নবীন সেনা কর্মকর্তাদের মনোবল বৃদ্ধিসহ দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করবে।এ সফরগুলোর ফলে প্রত্যেকটি দেশ একে অপরের সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিস্তর অভিজ্ঞতা লাভ করবে। এর আগেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে এদেশের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের উচ্চমান সম্পর্কে ধারণা দেয়ার সুযোগ এনে দেয়। একদিকে যেমন বিদেশের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের উচ্চমান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় তেমনি আমাদের দেশের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ স্থাপনার মান সরেজমিনে দেখে অনেক দেশই এ দেশে তাদের ক্যাডেটদের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির মত জাতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, স্কুল অব ইনফেন্ট্রী এন্ড ট্যাকটিকসে এ কারণে বিদেশী ছাত্রদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের হার বেড়ে গেছে। ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজসহ অন্যান্য সামরিক প্রতিষ্ঠানে বিদেশী ছাত্রদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ আমাদের উচ্চমানের প্রশিক্ষণের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে আরো নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করবে একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।
বিষয়: বিবিধ
৭৮৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন