ভারতের বর্তমান সরকার তাদের পাশে থাকবে এমন নিশ্চয়তা পেলে প্রয়োজনে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তেও পিছপা হবে না বিএনপি
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১০ জুন, ২০১৫, ০৩:১৫:২৪ দুপুর
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে স্পষ্টই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে তবে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিপক্ষে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকেও এই বিষয়টির ওপরই জোর দিয়েছেন মোদি। খালেদা জিয়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন, তার দলও সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের বিপক্ষে। বিএনপির এমন অবস্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন উঠেছে, তাহলে বিএনপি কি জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করছে? কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মৌলবাদী দল হিসেবে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী দলকেই বোঝানো হয়ে থাকে। বিএনপি এদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগের অবস্থান থেকে বিএনপির সরে আসার প্রমাণও পাওয়া যাচ্ছে। বিগত সময়ে ট্রানজিট বা করিডোর নিয়ে বিএনপির চরম বিরোধিতা লক্ষ্য করা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নিলে বিএনপির পক্ষ থেকে সরাসরি এর বিরোধিতা করা হতো। আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে এমন ধোয়া তুলে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। কিন্তু এবার তা করতে দেখা যাচ্ছে না। উল্টো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে দলটি স্পষ্টভাবে বলে আসছে, কানেকটিভিটিতে তাদের আপত্তি নেই। ভারতবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসছে বিএনপি। দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও প্রস্তুত দলটি। যে কোনো পরিস্থিতিতে ভারতের বর্তমান সরকার বিএনপির পাশে থাকবে এমন নিশ্চয়তা পেলে নতুন শর্ত মেনে নিতেও আপত্তি নেই দলের হাইকমান্ডের। সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের বিপক্ষে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করার অংশ হিসেবে প্রয়োজনে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তেও পিছপা হবে না তারা। এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত সাক্ষাতের পর দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যেও উজ্জীবিত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বৈঠকের পর থেকে খালেদা জিয়াকেও বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৭২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিএনপি অন্তত ধুতি চাটে না। সিজদা করা আর বন্ধু বানানোতে তফাৎ আছে।
হাসিনা আর তার চাটুকারের দল পুরা ভারতের মুচি মেথররে পর্যন্ত সিজদা করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন