শত প্রতিকুলতা পেরিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৮ মে, ২০১৫, ০৩:৪১:২১ দুপুর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর (ফাস্ট ট্রাক) মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি সরাসরি মনিটরিং করা হচ্ছে। যা এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। এই সেতুই হবে বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। বিশ্বব্যাংকসহ দেশী-বিদেশী মহলের বাধা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতু দিয়ে যুগপৎভাবে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করবে- এমন পরিকল্পনা সামনে রেখে এগোচ্ছে সবকিছু। এ সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকার গতি বহুগুণ বেড়ে যাবে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য পদ্মা নদীর ভেতরে তিনটি ও তীরে আরও তিনটি মিলে মোট ৬টি টেস্ট পাইল বসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ২টি টেস্ট পাইলের কংক্রিট ঢালাই হয়েছে। এগুলোতে লোড দিয়ে এখন ধারণ ক্ষমতা পরীক্ষার কাজ চলছে। দুটি টেস্ট পাইলে লোহার তৈরি বৃত্তাকার খাঁচা নামানো হয়েছে। বাকি দুটিতে কেচিং পাইপ ড্রাইভ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি পরীক্ষামূলক পাইল বসানোর কথা রয়েছে। এছাড়া ১৪২টি স্থানে মাটি পরীক্ষার কাজ চলছে। এরমধ্যে ২৪টি স্থানের মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একইসঙ্গে এখানে সেতুর অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী পদ্মা নদীর ভেতরে জেগে ওঠা চর কেটে নাব্যতা বাড়াতে ৩টি ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলেই মূল সেতুর পিলার বসানোর কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজও শুরু করেছে। একযোগে সেতুর বেশিরভাগ দৃশ্যমান কাজ করেছে সংস্থাটি। যন্ত্রপাতির বেশিরভাগ ইতিমধ্যে আনা হয়েছে। ১২ কিলোমিটারের বেশি এ সংযোগ সড়কে ৩০টি সেতু, আন্ডারপাস ও কালভার্ট নির্মাণ এবং সড়কের মাটি ও বালু ভরাটের কাজ চলছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর সঙ্গে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব শুরু হয়েছে। পদ্মার দুই পাড়ে নির্মাণাধীন সংযোগ সড়কে দেশীয় ইট, পাথর ও বালুসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৯৩০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মডেলিং জন্য কারা কাজ পেয়েছে। মূল ডিজাইনে কারা। এটা কি ধরনে Bridge?
world Bank কোন টাকা দেয়নি। আপনার
লেখায় সরকারী চামচাগীরী ছাড়া কিছু না।
কোথায় থাকেন? বাংলাদেশে না বিদেশে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন