প্রসঙ্গঃ সিটি নির্বাচন। জিতেছে গণতন্ত্র, হেরেছে পেট্রোলবোমার রাজনীতি (পর্ব-৩)
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৭ মে, ২০১৫, ০৪:৩৬:৪১ বিকাল
একইভাবে চট্টগ্রামে বিগত ৫ বছর বিএনপি সমর্থিত মেয়র ক্ষমতায় থাকলেও চট্টগ্রামবাসী ফিলই করেননি তাদের একজন নগর পিতা রয়েছেন। বরং চট্টগ্রাম মহানগরেও যা কিছু হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদ্যোগেই। হাতিরঝিল প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর নগরবাসী হাজার হাজার মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত হাতিরঝিলের নির্মল বাতাস ভোগ করছে। খালেদা জিয়া তার গুলশান বাসভবন থেকে এক রাতে কিছু দলীয় নেতা ও ব্যক্তিগত স্টাফ নিয়ে হাতিরঝিল ঘুরে ঘুরে এর নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ওরা কত ভাল কাজ করে আর আমাদের লোকজন নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। খালেদা জিয়া যদি বিএনপি প্রধান না হতেন তাহলে নিজের বিবেকের দায়ে তিনিও কি ঢাকা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দিতেন না? আর সেদিনই কি খালেদা জিয়া বোঝেননি ঢাকা সিটি নির্বাচনে আর যাই-ই হোক আওয়ামী লীগের সঙ্গে জেতা যাবে না? কিন্তু তারপরও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এত ভোট পাবার কথা ছিল না। তবু পেয়েছে। কেন পেয়েছে তার হিসাব করলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগ তার নজিরবিহীন উন্নয়ন কাজ সম্পর্কে মহানগরবাসীর মনোজগতে প্রবেশ করতে পেরেছে। খালেদা জিয়ার গণহত্যা, জ্বালাও-পোড়াও মানুষ গ্রহণ করেনি। লক্ষ্য করার বিষয় হলো, যত অপপ্রচারই করা হোক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যতখানি গণতান্ত্রিক, বিএনপি তার এক শতাংশও গণতান্ত্রিক নয়। খালেদা জিয়া বা তার দলের পাতি নেতা একটি মিথ্যা বললেও একজন কর্মীও পাওয়া যাবে না যে অবিশ্বাস করছে কিংবা মনে অবিশ্বাস থাকলেও প্রকাশ্যে তা বলবে না, স্বীকারও করবে না। বরং সেই কর্মীটিও ঐ মিথ্যাটিকে আর দশজনের কানে কানে হুইসপার ক্যাম্পেইন করবে। (চলবে...............)
বিষয়: বিবিধ
৮১২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
েএই শয়তান এর পিছে বাঁশ একদিন দেওয়া হবে।
তখন শয়তান কাতরাবে আর চিল্লাবে সন্ত্রাস সন্ত্রাস!!
আমি বলব তখন - তোর পাছায় বাঁশ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন