ব্যার্থতা স্বীকার না করে কেন সুষ্ঠ গণতন্ত্রের উপর বার বার কষাঘাত?
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:২১:০১ বিকাল
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতাই ভুগছিল বিএনপি। আব্দুল্ আওয়াল মিন্টুকে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থিতা মনোনয়ন করা ছিলো যেমন হাস্যকর ও ভুল, তেমনি অপরিপক্ক তাবিথকে প্রার্থী ঘোষণা এবং চরম দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এবং পলাতক আসামি মির্জা আব্বাসকে প্রার্থী ঘোষণাও। অন্য কোন মেয়র নির্বাচনে সেনাবাহিনী না থাকলেও হঠাৎ করেই এ মেয়র নির্বাচনে সেনাবাহিনীর জন্য অগ্রহণযোগ্য অবেদন। যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস ম্যানের মিথ্যা বিবৃতি, বিজেপির অমিত শাহের ফোনালাপ, পদ্মা ব্রিজ না হওয়ার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের সাথে লবিং করা, দেশের গার্মেন্টস ধ্বংস করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে আর যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র লবিং করা, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করা, খালেদা জিয়া কর্তৃক প্রকাশ্য জনসমাবেশে জাতিসঙ্ঘ মিশন থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের জন্য লবিস্ট নিয়োগ করা, বিজিবির ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যার ষড়যন্ত্রের কারণে জনগণ আজ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সিটি নির্বাচনে তার উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে। কথায় আছে– “চোরের শত দিন আর গৃহস্থের এক দিন”। আর এই ব্যার্থতা লুকাতে কেন আপনাদের নির্বাচন বয়কট বা বর্জন? কেন সুষ্ঠ গণতন্ত্রের উপর বার বার কষাঘাত? যে দেশে জনগণই শক্তির উৎস জেনেও, কেন সেই জনগণের উপর খড়গ চালানো হলো? ৯২ দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ ধ্বংস, ৫০০ জন মানুষ হত্যা, মিল কারখানা ধ্বংস, হাজার হাজার গাড়ি পোড়ানো এসব কি বাংলার মানুষ সহজে ভুলতে পারবে? আমার বিবেকে যা বলে- সিটি নির্বাচনে পরাজিত কেন, জাতীয় নির্বাচন এমনকি ইউ পি নির্বাচনেও বিএনপির ভরাডুবি হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সুতরাং মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় দেয়ার অভ্যাস পরিহার করে কিভাবে জনগণের কাছাকাছি যাওয়া যায় সে দিকটা অনুসরণ করাই কি শ্রেয় নয়?
বিষয়: বিবিধ
৯৩৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লজ্জা না থাকলে মানুষ্যত্বে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও পুরো অমানুষ নয়। কিন্তু এখন দেখছি উল্টো। আওয়ামী লীগ মানুষই হতে পারেনি।
তাই বলব আওয়ামী লীগ তোরা আবার মানুষ হ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন