সন্ত্রাস অনেকটা বিষাক্ত সাপের মতোই। যে সাপ সমাজদেহে দংশন করলে তার বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে সর্বশরীরে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৪২:১৪ দুপুর
সুদীর্ঘকাল নিজ কার্যালয়ে কাটিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঘরে ফিরেছেন এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল। দেশবাসী ভেবেছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নব্য আবিষ্কার পেট্রোলবোমা বুঝি এবার বন্ধ হলো। সে আশায় গুড়েবালি। বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঘুমন্ত ট্রাকচালককে দগ্ধ করা হয়েছে । সন্ত্রাস এক বিকট বিপুল রাক্ষস, তার রয়েছে হাজারো বাহু, শত শত মস্তক। সন্ত্রাসের সূচনামুখ তাহলে কোথায়? নিঃসন্দেহে তা অবিবেচক স্বার্থান্ধ সত্তায় এবং অপরাজনীতিতে। সন্ত্রাস অনেকটা বিষাক্ত সাপের মতোই। যে সাপ সমাজদেহে দংশন করলে তার বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে সর্বশরীরে। সন্ত্রাসের পথ রচনার নানা কৌশল আছে। হরতাল ও অবরোধ- এ দুটি মহাশক্তিমান পথ। রাজনৈতিক কর্মসূচী হিসেবে আখ্যা দেয়া হলেও তা আসলে আহ্বান করে হরেক রকম সন্ত্রাসকে। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, আছে অনেক বাধা আছে বিপুল বিঘ্নতা, তবু এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আছে শত্রুতা, আছে উল্টো পথের গাড়ি চালক- কিন্তু সঠিক পথে অগ্রসরমান আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের ক্রমোন্নতি বিষয়টির স্বীকৃতি মিলেছে। মানবসম্পদ উন্নয়নে ১৮ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। মানব উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশের কাছে বাংলাদেশ এখন অনুকরণীয়। শুধু অর্থনীতি ও মানব উন্নয়ন নয়; বাংলাদেশ এশিয়ার কোন কোন দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে আইনের শাসন, জবাবদিহিতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও। ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সব ধরনের সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে হবে যে কোন মূল্যে। পাশাপাশি স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী অপশক্তিকে রুখতে হবে জাতীয় স্বার্থেই।
বিষয়: বিবিধ
৮৮৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Kamal Chowdury · Top Commenter · Works at Self-Employed
ডিজি 'সlব,বিজিবির কlজ বর্ডারে,বর্ডারে যান l হরতাল-অবরোধ, নাশকতা, 'সন্ত্রাসী' এসব কlজ আপনাদের না l ১৯৯৬কিংবা ২০০৬এর সময়ে আপনি ছেlট ছিলেন,তাই আওয়ামী হরতাল অবরোধে নাশকতা আপনি দেখেননি l লগি বইঠা দিয়ে মানুষ মারা, গান পাউডার দিয়ে মানুষ পোড়ান, হরতালে অফিসগামিদের ন্যাংটা করা এসব কিছু তো হাসিনার আওয়ামিলিগের আবিসকার l
এখন আন্দোলনকারী জনগণের লাশের স্তূপ মাড়িয়ে সারা দেশে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রাণান্তকর কুৎসিত অপচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে।ভয়ঙ্কর এই পুলিশি রাষ্ট্রে জনগণ আইন-আদালতের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।গণতন্ত্রের শরীরে এত রক্তপাত জনগণ ইতিপূর্বে কখনও প্রত্যক্ষ করেনি। যুক্তির বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ কখনোই শুভ ফল বয়ে আনবে না।র্যােব, পুলিশ, বিজিবিকে রক্ষীবাহিনী স্টাইলে গণহত্যার হুকুম দিয়ে তার দায়ভার প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে তুলে নিলেও এরজন্য দায়ী কেউই বিচারের হাত থেকে রেহাই পাবে না।স্বৈরতান্ত্রিকতা, একনায়কতান্ত্রিকতা পরিত্যাগ করে গণতন্ত্রের পথে আসুন।আপনি এসব পরিত্যাগ করে দেশকে বাঁচান, মানুষ বাঁচান এবং নিজেরাও বাঁচার চেষ্টা করুন। (সূত্র)
মন্তব্য করতে লগইন করুন