ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ শরণার্থী হিসেবে এখন যুক্তরাজ্যে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৪৭:১০ দুপুর
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে তার পাসপোর্ট সর্বশেষ নবায়ন করেন। তার মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে। এরপর তিনি পাসপোর্ট নবায়ন করতে কখনোই লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করেননি। এবং তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টও পাননি। ইতোমধ্যে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বৈধতা হারানোয় তিনি এখন শরণার্থী হিসেবে দেশটিতে অবস্থান করছেন। এ কারনে গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর এ কারণেই তারেক কুয়ালালামপুরে যেতে পারেননি। আর এখন ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যানের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য খুঁজছে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি তারেক। এছাড়া জরুরি অবস্থার সময় দায়ের হওয়া দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অন্তত ১২টি মামলায় তারেক আসামি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির কয়েক ডজন মামলাতেও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় জড়িত ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় তারেক রহমানকে ‘ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন- ইন্টারপোল। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে যদি আন্তজাতিক আসামি হয় তাহলে আমরা সাধারন জনগণ বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল থেকে কি আশা করতে পারি?
বিষয়: বিবিধ
৭৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন