চলচ্চিত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ফিল্ম নীতিমালা-২০১০ প্রবর্তন এবং ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সরকারের
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৪১:৫৪ দুপুর
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আরও বেশি বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে তরুণ নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ফিল্ম নীতিমালা-২০১০ প্রবর্তন এবং ফিল্ম সিটি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন এবং এফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আরও বেশি বেশি করে নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের পর রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রশিল্পও বিকশিত হতে থাকে। কিন্তু পঁচাত্তরের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পর পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। চলচ্চিত্রে নেতিবাচক পরিবর্তন চলে আসে। চলচ্চিত্রশিল্পের নান্দনিকতা নষ্ট করে এতে রুচিহীনতা, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা, অপরাধ, জঙ্গীবাদসহ বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হতো। আর এর প্রভাব পড়তে থাকে আমাদের শিশুদের ওপর। এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছিল যে, মানুষ সপরিবারে বা বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে সিনেমা দেখতে হলে যাওয়ার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলেছিল। এখন আবার নান্দনিকতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। চলচ্চিত্র শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে, এখন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে চলচ্চিত্র নগরী প্রতিষ্ঠার। দেশে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ যোগাতে বেড়েছে সরকারী অনুদান। চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডকে শিল্প হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। সুস্থধারার চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ৬-৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সরকারী অনুদান দেয়া হচ্ছে। বিগত ছয় বছরে এজন্য আট কোটি টাকার বেশি অনুদান দিয়েছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগের ফলে হলের প্রতি জনগনের যে বিমুকতা তা অনেকাংশে লাঘব হবে বলে ধারণা পোষণ করা হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৫৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন