মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্য যা বিশ্বের সকল দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৫ মার্চ, ২০১৫, ০৪:৩৬:০২ বিকাল
মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। গর্ভবতী মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যু হ্রাসে জোরালো ভূমিকা রাখছে জাতীয় অণুপুষ্টি উপাদানের (মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট) পর্যাপ্ত ব্যবহার। যা বিশ্বের সকল দেশের জন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার সফলতার বিষয়টি প্রকাশিত ও প্রশংসিত হয়। বাংলাদেশে এনজিওগুলোর তৎপরতায় এবং সরকারী কর্মসূচীর ফলে সমাজের দরিদ্রতম স্তরে শিশু অপুষ্টি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ শিশুদের পুষ্টি নিয়মিতভাবে মনিটর করে থাকে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে বয়সের তুলনায় কম ওজনের শিশুদের অনুপাত ছিল ৬২ শতাংশ, ২০১১ সলে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ শতাংশে। গত ১৫ বছরে দেশের মাতৃ মৃত্যুর হার প্রায় ৬০ শতাংশ এবং শিশু মৃত্যুর হার প্রায় অর্ধেক কমেছে। ১৯৯০ সালে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ৫৭৪ জন মারা গেছেন? এই সংখ্যা কমে ২০০১ সালে ৩২২ এবং ২০১১ সালে ১৯৪-তে নেমে এসেছে? ২০১৫ সালের মধ্যে ১৪৩ এ নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার । মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম। ১৩০তম অবস্থান হলেও গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘বিশ্বে মায়েদের অবস্থান-২০১৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়: বিবিধ
৭৬৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম! জাযাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন