এডিপি বাস্তবায়ন, প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায় ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে অর্থনৈতিক ঝুঁকির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১৩ মার্চ, ২০১৫, ০২:৫৯:৪৮ দুপুর
হরতাল-অবরোধের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আর্থ-সামাজিক খাতে অর্জিত সাফল্য ধরে রাখতে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ লক্ষ্যে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও প্রাক্কলিত রাজস্ব আদায়ের মতো তিনটি বিষয় সামনে রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের রূপান্তরের যে পরিকল্পনা রয়েছে তাও যাতে বাধাগ্রস্ত না হতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রা এবং সামষ্টিক অর্থনীতির সাম্প্রতিক অবস্থান শীর্ষক রিপোর্টে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সরকার। হরতাল-অবরোধের কারণে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও প্রাক্কলিত রাজস্ব আহরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধ ও নাশকতার কারণে বাড়ছে অর্থনৈতিক ঝুঁকি। এগিয়ে যাওয়া অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। সহিংসতা সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেশের অর্থনীতির বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্র। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গত ২০০৯-১০ অর্থ বছর হতে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত সময়কালে গড়ে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্যানুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব বিনিয়োগ বাড়ানো ও বিনিয়োগের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। ইতোমধ্যে বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে বিকাশোপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ফলে জাপান, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আসছেন। এছাড়া বিনিয়োগ আকৃষ্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিবীক্ষণের জন্য আটটি অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, ঢাকা মাচ র্যাবপিড ট্রানজিট, এলএনজি নির্মাণ প্রকল্প, মাতাবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ ও পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে দারিদ্র্য ও অসমতা হ্রাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার সফলতা পেয়েছে। সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকারী অন্যতম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। এদিকে, ভিশন-২১ বাস্তবায়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। মধ্যম আয়ের দেশ স্বপ্ন নয়, এটা বাস্তব। হরতাল-অবরোধ বন্ধ হওয়াসহ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে চলে যেতে সক্ষম হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৩০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন