খালেদার ছোবল থেকে মুক্তি চায় বিএনপি'র তৃণমূল নেতা-কর্মীরা
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১২ মার্চ, ২০১৫, ০৮:৩৬:৪৩ রাত
লাগাতার অবরোধে অতিষ্ট সাধারণ জনগণ। অবরোধের সাথে ঘন ঘন হরতাল দেশের অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। একথা অনস্বীকার্য, এদেশের উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠীর সমর্থন বিএনপি'র সাথে রয়েছে, শতকরা হিসাবে যার পরিমান তিরিশের কিছুটা বেশী। প্রশ্ন হচ্ছে, চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচীতে এই তিরিশ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মনোভাব কি? তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের করনীয় কি? মাঠ পর্যায়ে বিএনপি'র সমর্থক গোষ্ঠীর অভিন্ন উত্তর "আমরা খালেদার থাবা থেকে মুক্তি চাই"। তৃণমূল পর্যায়ের অনেকেই জানে না আন্দোলনের গন্তব্য কোথায়? কোন পদ্ধতিতে আন্দোলন পরিচালিত হবে? গত ৬৩ দিনের অবরোধ আর হরতালে তাদের অর্জন কতটুকু? আর কতদিন পালিয়ে বেড়াতে হবে? কিভাবে চলবে সংসার? আন্দোলনের অজুহাতে নিরীহ মানুষকে কেন পুড়িয়ে মারা হচ্ছে? এবং সর্বোপরী খালেদার কালো থাবা থেকে তারা কবে মুক্তি পাবে। এরকম হাজারো প্রশ্ন তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। সৎ রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা আন্দোলন চায় কিন্ত দেশের অনিষ্ট চায় না। লক্ষ্যহীন এই আন্দোলনের সাথে তারা প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চান না। অন্যদিকে, নিজ এবং পরিবারের 'নিরাপত্তার' খাতিরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিরোধেও জড়াতে চান না। 'নিরাপত্তার' বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন কারণ স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির প্রতিনিয়ত তাদেরকে সহিংস আন্দোলনে শরিক হবার জন্য প্রলুদ্ধ করছে। অনৈতিক আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে, তাদের অনেককেই মেনে নিতে হয়েছে পঙ্গুত্ব এবং মৃত্যুর মত কঠিন বাস্তবতা। আর যারা দ্বিমত নিয়ে বেঁচে আছে, তারা বরন করেছে 'অন্ধ' এবং বধিরের ফর্মূলা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতার ভাষ্য, "আমি এক জিন্দা লাশ, খালেদার ছোবল থেকে এখন আমি মুক্তি চাই"। সচেতনমনা এই সব সৎ রাজনীতিবিধ একদিন জেগে উঠবেই। অনৈতিক, সহিংস এবং কাপুরুষোচিত এই সব ধ্বংসলীলার বিরুদ্ধে তারা খুব সহসাই বিদ্রোহ করবে। তখন খালেদা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই হরতাল ,অবরোধ ছাড়াও উনি বেশ বুড়িয়ে গেছেন ।রাজনীতি এখন আর বেশি মাথায় তো ঢোকবেনা তাই ওনার এখন অবসর নেয়া এমনিতেই উচিত্ ।যেই বয়সে পুত্র বধুর হাতের পান খাওয়া উচিত্ সেই বয়সে কিনা রাজনীতি ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন