বাংলাদেশ সরকারের উদ্ভাবিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রশংসায় যুক্তরাজ্য
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৮ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৪৩:২৪ সন্ধ্যা
বাংলাদেশের পোশাকশিল্প শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনার সাফল্যকে উদাহরণ হিসেবে দেখছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। গত ৫ মার্চ যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেরিডেন এলাকা থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য ক্যারোলিন স্পেলম্যান এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে উপযুক্ত নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। 'যাঁরা নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে কাজ করছেন তাঁদের কথা এখানে উল্লেখ করা শ্রেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের নাম উল্লেখ করতেই হয়-যিনি বাংলাদেশের পোশাকশিল্প কারখানায় নিয়োজিত নারী শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিংসেবা প্রদানে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন। এ ধরনের বাস্তবমুখী উদ্যোগ সত্যিই নারীর ক্ষমতায়নে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দিয়েছে।' তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে কর্মরত নারীদের কষ্টার্জিত টাকা গ্রামে তাদের স্বজনদের কাছে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। জানুয়ারি শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৫২ লাখ ৩৬ হাজার। এর মধ্যে সচল হিসাবের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার। আগের মাস ডিসেম্বরে মোট গ্রাহক ছিল দুই কোটি ৫১ লাখ ৮৬ হাজার। আর সচল হিসাব ছিল এক কোটি ২১ লাখ ৫৪ হাজার। এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহক ৫০ হাজার বাড়লেও সচল হিসাব কমেছে ১১ লাখ। তা ছাড়া এজেন্ট সংখ্যাও কিছুটা কমে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজারে নেমে এসেছে। তবে দৈনিক লেনদেন গড়ে ৮ শতাংশ বাড়ছে। গত ডিসেম্বরে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৪৯ কোটি টাকা, যা জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৩৭৮ কোটি টাকা। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় মোবাইল ব্যাংকিংসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে নীতি-পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ সম্প্রতি 'অ্যালায়েন্স ফর ফাইন্যানশিয়াল ইনক্লুশন (এএফআই)' পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এদিকে বিশ্ব অর্থনীতির সক্ষমতা নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী 'দি ওয়ার্ল্ডফলিও' মূল কাজের সঙ্গে কোনোরূপ আপস না করে সামাজিক দায়বোধ ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন খাতে সরকারের অগ্রণী ভূমিকার ওপর সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিষয়: বিবিধ
৭১২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন