সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশেষ ভুমিকা রাখছে কাঁকড়া চাষ
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৭ মার্চ, ২০১৫, ০৪:১৩:২৫ বিকাল
অনেক আগেই কাঁকড়া চাষ শুরু হলেও এখন এটি দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। ধর্মীয় কারণে দেশে তেমন একটা চাহিদা না থাকলেও বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা এখন আকাশছোঁয়া। কাঁকড়া রপ্তানি করে এখন প্রতিবছর গড়ে আয় হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা। রপ্তানি তালিকায় অপ্রচলিত এই পণ্যই বদলে দিচ্ছে লাখো মানুষের ভাগ্য। যে হারে চাহিদা বাড়ছে তাতে ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিত গলদা চিংড়িকে অদূর ভবিষ্যতে হার মানাতে পারে এই জলজ সম্পদ। দেশের পাঁচ উপকূলীয় এলাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে কাঁকড়ার। এটি চাষে চিংড়ির মতো অগ্নিমূল্যে পোনা কিনতে হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই লোনা পানিতে জন্মায় কাঁকড়া। নদী থেকে ঘেরে পানি উঠালেই লাখ লাখ পোনা আপনাআপনিই উঠে আসে। যে সব গ্রামের শতভাগ মানুষেরই জীবিকা ছিল সুন্দরবনকেন্দ্রিক। বছরের বারো মাসই যাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবন থেকে মাছ, মধু ও কাঠ আহরণ করে খুব কষ্টে জীবনযাপন করতে হতো। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে কাঁকড়া চাষে সেই সব গ্রামের মানুষের জীবনচিত্র বদলে গেছে। এখন আর তাদের সংসারে কোনো অভাব নেই। আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁকড়া চাষ করে এ অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা আর কক্সবাজারের অনেক চিংড়ি চাষি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আর আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির দরপতনের কারণে এখন
কাঁকড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১৮ হাজার টন কাঁকড়া রপ্তানি করছে, যা দেশের অর্থনীতিকে দিচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী গতি। কাঁকড়া চাষিরা মনে করেন, কাঁকড়া উত্পাদন ও রপ্তানি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। এজন্য উত্পাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় গবেষণা পরিচালনা করা জরুরি। দরকার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সমস্যার সমাধান। কারণ কাঁকড়ার চাষ লাভজনক দেখে অনেক বেকার যুবক এ চাষে উত্সাহী হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সংকট ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ছিটকে পড়ছেন। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে উপকূলীয় অঞ্চলের বেকার যুবকদের কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা যেমন সম্ভব হবে তেমনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০৬০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যতই রাম রাম করিসনা কেন, তোর হাসিনা সরকারের আয়ু শেষ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন