দেশের মানুষ জানতে চায় যদি জনগণের অধিকারের জন্য বর্বর খালেদা আন্দোলন করে, তবে লুকিয়ে লুকিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করবে কেন?
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০১ মার্চ, ২০১৫, ০৪:১৪:৩৩ বিকাল
গণতন্ত্র চাই, নির্বাচন চাই, অধিকার চাই, কিন্তু কেন? দেশ যদি পিছিয়ে যায়, দেশ যদি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়, তবে গণতন্ত্র দিয়ে কি করবো? নির্বাচন দিয়ে কি করবো? অধিকার নিয়ে কি আঙুল চুষে জীবনযাপন করবো? গণতন্ত্র, নির্বাচন, অধিকার অবশ্যই চাই। কিন্তু যারা মুখে গণতন্ত্র, নির্বাচন, অধিকারের কথা বলছে, তারা কি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এসব বলছে, নাকি জনগণকে এসব কথা বলে ভুলিয়ে নিজের স্বার্থ রক্ষা করার কথা ভাবছে? বর্বর খালেদা কি গণতন্ত্র, নির্বাচন, জনগণের অধিকারের জন্য নিরীহ মানুষকে পেট্রলবোমা মেরে জীবন্ত হত্যা করছে? যদি জনগণের অধিকারের জন্য বর্বর খালেদা আন্দোলন করে, তবে লুকিয়ে লুকিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করবে কেন? মানুষ হত্যা করে কিভাবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়? গণতন্ত্র, নির্বাচন, জনগণের অধিকারের কথা আবার টকালুরাও বলে। কিন্তু টকালুরাও যে রাতের আঁধারে মানুষ হত্যার মাধ্যমে নিজেরা ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে, সেটাও তো এখন দিবালকে পরিস্কার হয়েছে টকালু মান্নার টেলিফোন আলাপে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪৩ বছর। অনেক সময়। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বর্বর খালেদা, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আর টকালুদের দুরভিসন্ধির চক্রান্তের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। গণতন্ত্র, নির্বাচন, জনগণের অধিকারের কথা তাদের মুখের বুলি, কিন্তু অন্তরে অবৈধ পথে ক্ষমতা দখল করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য। বর্তমান সরকার ভাল করছে নাকি মন্দ করছে, সেটা বিচারের ভার দেশের জনগণের। তারাই সেটা বিচার করবেন। পদ্মা সেতু হলে ভাল হবে নাকি মন্দ হবে, সেটা দেশের মানুষই বিচার করবেন। চারলেনের রাস্তা, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, ইউনিয়নে ইউনিয়নে আবাসন, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইন্টারনেট সেবা, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, স্বল্প খরচে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ইত্যাদি মানুষের জন্য ভাল কাজ, নাকি মন্দ কাজ, সেটা বিচারের ভার দেশের জনগণের। কর্ণফুলী নদীতে ট্যানেল হবে, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যমুনা নদীতে ট্যানেল ও রেলসেতু হবে, এসব কি দেশের মঙ্গলের জন্য, নাকি মানুষের অমঙ্গলের জন্য, সে সবও ভেবে দেখেবে দেশের জনগণ। চাহিদা পুরণের সাথে মানুষের আশাও বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষের অনেক আশাই হয়তো সরকার পুরণ করতে পারবে না, এসব নিয়ে জনগণের আক্ষেপও থাকবে। কিন্তু আক্ষেপ থাকলেও ভাবতে হবে, এই সরকার সব আশা পুরণ করতে পারছে না, তাহলে কি অন্য যারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, তারা কি সেসব আশা পুরণ করবেন? অতীতে আমরা কি দেখেছি, হাওয়া ভবন, বাংলা ভাই, জঙ্গি, গ্রেনেড, বৈশাখী অনুস্ঠানে গ্রেনেড হামলা, ১/১১। তারা কি জনগণের কোন আশা পুরণ করেছিল, নাকি নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এসব ভাবতে হবে। যদি কেউ বলেন, এই সরকার সব আশা পুরন করতে পারছে না, তবে এই সরকারের চেয়ে আরো ভাল সরকার আমরা চাই। কিন্তু তারা কারা? যতোদিন সেই ভাল সরকার পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হবে না, ততোদিন দুর্বৃত্ত্বদের চেয়ে এই গণমূখী সরকারের হাত ধরেই এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে। দুর্বৃত্ত্বরা উন্নয়ন ও অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চায়। এদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। প্রতিহত করতে হবে। সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০১০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপ্নের ছাত্রলীগ যে রোজ রোজ পেট্রোলবোমা সহ ধরা খায় সেই খবর রাখেন নি?
নিজের নাম যে ঠিক বানানে লিখতে পারেন না, সেই খবর আছে নি? ভুল বানান দেইক্কাই যে কেউ চিন্না ফালাইবো আম্নে আমুলীক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন