সচেতন দেশবাসীকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে, যেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে কোনোরকম সংশয় ও শঙ্কা তৈরি না করতে পারে বিএনপি-জামাত
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:১৮:৩৮ রাত
গত কয়েক বছরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এ ধরনের মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিদেশে যে শুধু মর্যাদা বাড়িয়েছে তাই নয়, বরং বিভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে নিজেদের অভিজ্ঞতার পরিধি বিস্তৃত হতে সহায়তা করেছে এবং বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য ও চর্চার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছে। অধিকন্তু, এতে অংশগ্রহণকারী সেনাসদস্যরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়তি আয় করতে পেরেছেন। পালাক্রমে ১ লাখ ২২ হাজার সেনা সদস্য ও সেনা কর্মকর্তা এ ধরনের মিশনে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ অর্জন একদিনে হয়নি। জাতির পিতা তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সামরিক দিক দিয়েও এদেশকে স্বাবলম্বী করতে চেয়েছিলেন। তাঁর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ অঞ্চলে একটি মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা হোক। তাই স্বাধীনতার পর তিনি সেনাবাহিনীতে দক্ষ অফিসার গড়ে তোলার জন্য কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন ও সম্প্রসারনে জাতির পিতার নেয়া পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সময়কালেও অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নিরলস কাজ করে গেছে। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও যাতে দেশের সম্মান অক্ষুণ রাখতে পারে তার জন্য সময়োপযোগী সব পদক্ষেপও সবসময় নিয়েছে সরকার। তাই সচেতন দেশবাসীকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে, যেন এই বাহিনীটিকে নিয়ে কোনোরকম সংশয় ও শঙ্কা তৈরি না করতে পারে বিএনপি-জামাত সেদিকে সবার সতর্ক দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আওয়ামী লীগ নাকি সেনা বাহিনীর উন্নয়নের বন্যা ভাসিয়ে দিয়েছে আজ ২৫ শে ফ্রেবুয়ারি। বাংলার জনগণ ভুলে নি এই দিনের কথা। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ২৫ শে ফ্রেবুয়ারিতে কি করে ছিল।
মন্তব্য করতে লগইন করুন