এই ভাবে বেঁচে থাকার জন্য কি স্বাধীন হয়েছিলাম?

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:২৩:৪১ বিকাল



অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লিখতে বসেছি, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এতটাই অসহনীয়/ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যা চিন্তা করলে গা শিউরে উঠে। প্রতিদিন মানুষ পুড়ছে ক্রসফায়ারে মারা যাচ্ছে, গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এজন্য কি আমরা পাকিস্তানী শাসকদের কাছে থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম? পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী? এই আলোচনায় না গিয়েও এটা নির্ভয়ে বলা যায়, এটার জন্য আমাদের রাজনৈতিক নেতারাই দায়ই। কেউ বেশি, কেউ কম। আমার ছেলেকে আমি সকালে গাড়ি করে সেনানিবাসের শেষ মাথায় নামিয়ে দিয়ে এলাম অফিসে যাওয়ার জন্য। কারণ তার বেশি যাওয়ার সাহস আমার হয়নি। ওখান থেকে রিক্সা যোগে তাকে অফিস যেতে হবে। কারন এটা তুলনামুলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু আমি কি নিশ্চিত হতে পেরেছি? বা পারি যে আমার এক মাত্র ছেলে সুস্থ্ দেহে বাসায় ফিরবে? এই চিন্তা বা দুর্ভাবনা তো সবার। কিন্তু কেন? যাদের আমরা আমাদের নেতৃত্বের ভার দিয়েছি, তারা কি আমাদের নিরাপদের কথা ভাবেন? ভাবলে কতটুকু ভাবেন? নেতাদের সবার জন্য তো তিন চার স্তরের নিরাপত্তা। আমাদের জন্য কি? কে দায়ী এ আলোচনায় আমি যেতে চাই না। আমি মোটা চালের ভাত সব্জি মাছ ডাল খেয়ে শান্তিতে চলাফেরা করতে চাই, নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চাই। সন্তানের অপঘাতে/অপমৃত্যুর কথা চিন্তা করে ছটফট করতে চাই না। এ পর্যন্ত যারা স্বজন হারিয়েছেন বা স্বজন দগ্ধ অথবা আহত/ পঙ্গু বরন করেছেন তাদের কষ্ট আমার চেয়ে শতগুণ। তাদের কষ্টের সিকি ভাগও আমি বুঝতে সক্ষম নই। তবু তাদের সকলের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে একটাই প্রশ্ন আমার এভাবে বেঁচে থাকার জন্যই কি স্বাধীন হয়েছিলাম? যে ডিজিটাল রাজনীতিবিদদের নিজের নাতনীর পড়াশুনা ঠিক রাখার জন্য নিজ সন্তানের মৃত্যুর দুই দিন পরে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেন। ঘরে বসে টিভি দেখা ইন্টারনেটে দেশে ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর এস এস সি পরীক্ষা বন্ধের ব্যবস্থা করেন। আর ৭০ জনকে বার্ন ইউনিটে পুড়িয়ে মারলেন। কিন্তু আমাদের ভোটে আপনারা ক্ষমতায় যান, আমাদের জন্য রাজনীতি করেন। তাদেরকে একবারও দেখতে না এসে বড়াই করে একজন অন্য জনের উপর দোষ চাপিয়ে পৈচাসিক উল্লাস করেন।

বিষয়: বিবিধ

৮৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

304157
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : ১৯৯৬ এ যখন এস.এস.সি. পরীক্ষা ৩ মাস পিছিয়ে ছিল , ২০০৬ এর ২৮ শে অক্টোবর যখন লগি বৈঠার তান্ডব হয়েছিল বা তারও আগে গান পাউডার দিয়ে দ্বিতল বাসে ১১ জনকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়েছিল --- এর পরেও তো মানুষ বেঁচে ছিল , আছে ।
304158
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৫
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : এই দেশে রাজনীতির নামে নোংরা খেলা চলছে। তাই ভাবছি দেশে আর থাকবো না।
304159
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৪
নারী লিখেছেন : জনগণের জন্য তৈরি হলো গণতন্ত্র, আর সেই গণতন্ত্রের জন্য পুড়ছে জনগণ।
304165
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File