বিরোধীদের হরতাল-অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও ও বাধা সত্ত্বেও সব সূচকে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে সরকার

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১৩:৩২ বিকাল

নানা বাধা সত্ত্বেও গত ৬ বছরে (২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত) অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়, রফতানি আয়, রেমিটেন্স, রিজার্ভ, বাজেট বরাদ্দ, মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু, দারিদ্র্যের হার এবং অতি দারিদ্র্যের হারসহ আরও বিভিন্ন সূচকে সাফল্য এসেছে। গত ৬ বছরে অতিদারিদ্রের হার ২৪.২ থেকে কমে ১০.৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এসময়কালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝেও অর্জিত অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি প্রশংসার দাবি রাখে। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং দারিদ্র্যের হার ১৩ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। বিশ্বমন্দার মধ্যেও সরকারের বিচক্ষণ নীতি ও দক্ষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ২০০৯ থেকে ২০১৪ মেয়াদকালে গড়ে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ হারে। অপরদিকে তার আগের পাঁচ বছরে সময়কালে প্রবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে জিডিপির ২৭ দশমিক আট শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক পাঁচ শতাংশে। ২০০৫-০৬ এর তুলনায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট রাজস্ব ও কর রাজস্ব তিনগুনের অধিক বেড়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ১৬ হাজার ২২২ কোটি টাকা, যা চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। মুদ্রানীতি বরাবরই লক্ষ্য ছিল সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার সফল হয়েছে। সরকারের দক্ষ আর্থিক ও রাজস্ব খাত ব্যবস্থাপনা এবং নিয়মিত ও কার্যকর তদারকির মাধ্যমে গত পাঁচ বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ হলেও মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৪ শতাংশের মধে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা প্রতিকূলতার সত্ত্বেও ২০০৫-০৬ এর তুলনায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আমদানি এবং রফতানি উভয় ক্ষেত্রেই বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। ২০০৫-০৬ এর তুলনায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রফতানি ও প্রবাস আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা, নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গড়আয়ুও বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও কখনও দেশে শান্তি বয়ে আনে না। একটি সুখি সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

৭৭৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302632
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
আনিসুর রহমান লিখেছেন : For various reason Bangladesh is going up if when this Present Fasciest ragime kick off by the people this process should be get faster, no doubt about it.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File