সরকারের সৌর আলোয় আলোকিত হলো অন্ধকারাচ্ছন্ন দ্বীপ যমুনার চর
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫৫:০৪ বিকাল
সৌরবিদ্যুতের আলোয় রাতের অন্ধকার দূর করেছেন যমুনার চরের মানুষ। কেরোসিনের কুপি আর হারিকেনের বদলে সেখানে ঘরে ঘরে এখন সোলার বাতি জ্বলছে। যমুনার চরাঞ্চলের দেড় লাখ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে সরকারের এই সোলার বাতি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় তো সোলার বাতি উপকারে আসছেই, অন্যদিকে সৌরশক্তির বদৌলতে গ্রামীণ জনজীবনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মোবাইল, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ নানা সুযোগ-সুবিধা। চরের মানুষদের এখন আর ইন্টারনেট সুবিধার জন্য শহরে আসতে হয় না। ইন্টারনেট সুবিধা এখন ছড়িয়ে পড়েছে যমুনার চরেও। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার যমুনা নদীর এই চরে রয়েছে চরগিরিশ, নাটুয়াপাড়া, মনসুর নগর, নিশ্চিন্তপুর, খাসরাজবাড়ি, মাইজবাড়ি ও তেকানী ইউনিয়ন। একসময় এসব চরে মানুষ বসবাস করতে ভয় পেত। এখন সেখানে দেড় লাখ লোকের বসবাস। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সবকিছু আছে এসব চরে। এমনকি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে এসব চরের মানুষ। ইন্টারনেট সুবিধা, রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কারণে পাল্টে যাচ্ছে যমুনার চরাঞ্চলের চেহারা। জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন এই চরগুলোকে একসময় অন্ধকারাচ্ছন্ন দ্বীপ বলা হতো। আধুনিক সুবিধাবঞ্চিত সিরাজগঞ্জের যমুনা চরের মানুষ এখন শহুরে সভ্যতার সঙ্গে তালমিলিয়ে চলছে। সোলার শুধু অন্ধকার নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা এ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নেও সরকারের অবদান অনেক। আমরা যমুনা চরবাসী অন্ধকারাচ্ছন্ন এই দ্বীপকে আলোকিত করায় বর্তমান সরকারকে স্বাগত জানাই।
বিষয়: বিবিধ
৯৯১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন