বঙ্গবন্ধু একটি নাম ও একটি অসমাপ্ত ইতিহাস
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:০৮:৪৯ দুপুর
জর্জ ওয়াশিংটন ছাড়া যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কামাল আতাতুর্ক ছাড়া যেমন আধুনিক তুরস্ক, নেলসন ম্যান্ডেলা ছাড়া যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ছাড়া যেমন ভারতের ইতিহাস পূর্ণতা পায়না তেমনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়া বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস কল্পনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধু একটি নাম একটি অসমাপ্ত ইতিহাস। বাংলাদেশের সাথে বঙ্গবন্ধু কিংবা বঙ্গবন্ধুর সাথে বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্বভাবে জড়িত। যেন একটি আরেকটির পরিপূরক। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার নামে ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী যে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্র বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল সেই মানুষটিই পরবর্তীতে বাংলাদেশীদের প্রাণের পুরুষে পরিণত হয় এবং তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পরিচয়ের কথা কল্পনাতীত হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৪৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর আমৃত্যু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশীদের মুক্তি ও অধিকার ফিরিয়ে আনতে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত তিনি এ জাতির পক্ষে ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর শিষ্য হিসেবে তিনি কখনো ক্ষমতার মোহে অন্ধ হননি বরং সর্বদা চেষ্টায় ছিলেন কিভাবে এদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র এবং এ জাতিকে স্বতন্ত্র জাতীয়তাবোধের স্বাদ দিতে পারেন। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর অপশাসনের বিরোধীতা করার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উল্লেখযোগ্য অংশ কারগারে কেটেছে। ফাঁসির হুমকিতেও তিনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবোধ কিংবা এ জাতির অধিকার আদায়ের পক্ষে অবস্থান থেকে এক চুলও পিছপা হননি। পাকিস্তানে বর্বর শাসকগোষ্ঠী যখন সর্বত্র থেকে বাংলা নামক শব্দটি উচ্ছেদে ব্যস্ত তখন তিনি বুক চিতিয়ে বাংলাকে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় সংকল্প। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এক সময় এ দেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে বাংলা কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে, একমাত্র বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোন কিছুর সঙ্গে বাংলা কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। আজ আমি ঘোষণা করছি এটা পূর্ব পাকিস্তান নয় শুধু বাংলাদেশ’।
বিষয়: বিবিধ
৭৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন