বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে নতুন পরিচয়ে বাংলাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৪১:৪৭ দুপুর



শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একের পর এক অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে প্রতিনিয়ত নতুনভাবে পরিচিত হচ্ছে আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এক সময়ের ‘তলাবিহীন ঝুঁড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত বাংলাদেশই এখন বিশ্বের দরবারে পরিচয় পেয়েছে সুফলা-সুজলা, শস্য-শ্যামলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হিসেবে। বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে নতুন অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে জানান দিচ্ছে নিজের অবস্থান। এবার মসুর গাছের শিকড়ে নডিউল সৃষ্টিকারী নতুন জাতের ব্যাক্টেরিয়া আবিষ্কার ও নামকরণে বিশ্বদরবারে নতুন পরিচয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুন-অর রশীদ বাংলাদেশের মসুর গাছের শিকড়ে গুটি বা নডিউল সৃষ্টিকারী তিনটি নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া আবিষ্কার ও নামকরণ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মসুর গাছের শিকড়ের নডিউল নিয়ে দীর্ঘ ছয় বছর গবেষণা করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া শনাক্ত করেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করে ঐ ব্যাক্টেরিয়ার বৈজ্ঞানিক নামকরণ করে দেশ ও জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও পরিচয় এনে দিলেন তিনি। শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মসুর জাতীয় ফসলের গাছের শিকড়ে নডিউল সৃষ্টিকারী তিনটি ভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিত্ব প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের মসুর গাছের যে প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়ার অস্তিত্ব বিদ্যমান তা পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তার এই গবেষণা ফলাফল ইউরোপ থেকে প্রকাশিত মাইক্রোবায়োলজির বিখ্যাত জার্নাল ‘সিস্টেমেটিক এ্যান্ড এ্যাপ্লাইড মাইক্রোবায়োলজি’ এবং আমেরিকার বিখ্যাত জার্নাল ‘এফইএমএস মাইক্রোবায়োলজি ইকোলজি’ এ প্রকাশিত হলে দেশে-বিদেশে সাড়া পড়ে মসুর গাছের মূলে নডিউল সৃষ্টির কারণ হিসেবে দেখানো প্রায় ১০০ বছরের ধারণা থেকে সরে আসতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। ফলে বিজ্ঞানের মৌলিক এই বিষয় নিয়ে নতুনভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।নতুন প্রজাতির এই ব্যাক্টেরিয়াগুলো উপকারী এবং এদের কোন ক্ষতিকর দিক নেই। এই ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে জীবাণু সার তৈরির করা হলে একদিকে যেমন মসুর গাছে ইউরিয়া সার ব্যবহার কমে যাবে, অন্যদিকে ফলনও ১০-২০% বেড়ে যাবে। এতে করে মসুর ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যাবে।

বিষয়: বিবিধ

৭৪৩ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333895
০৫ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:১৪
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File