নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকায় বিএনপির দুর্গ এখন অরক্ষিত ঘাঁটি

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ০৩ জুলাই, ২০১৫, ০২:৫৭:৩৭ দুপুর





বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় ভালো যাচ্ছে না দলটির দিনকাল। রাজপথে মিছিল, মিটিং নেই, দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কর্মীও নেই। এক কথায় ভালো নেই বিএনপি। মামলার ভারে জর্জরিত নেতা-কর্মীদের কেউ জেলহাজতে, কেউ মামলার হাজিরা আর বাকিরা গাঢাকা দিয়ে পিঠ বাঁচিয়ে চলছেন। দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাবেক সংসদ সদস্যরাও মাঠে না থাকায় বিএনপির দুর্গ এখন অরক্ষিত ঘাঁটিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া। এ কারণে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে সব সময় শক্তিশালী ছিল এখানে। প্রথম থেকেই বগুড়াকে বিএনপির দুর্গ বা ঘাঁটি বলা হতো। সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনেই বিএনপির জয়জয়কার ছিল। কিন্তু ওয়ান-ইলেভেনের পর বগুড়ায় বিএনপির নাজুক অবস্থা শুরু হয়। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জেলার দুটি আসন হাতছাড়া হয়ে যায়। বগুড়া-১ আসনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নান ও বগুড়া-৬ আসনে হাবিবুর রহমান। বাকি পাঁচ আসনে বিএনপির প্রার্থীরা বরাবরের মতো জয়ী হন। সেই নির্বাচনের সময় থেকেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল বিএনপি। ৫ জানুয়ারির পর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পেট্রলবোমা হামলাসহ নানা অভিযোগে মামলায় প্রায় ২ শতাধিক নেতা এজাহারভুক্ত আসামি; যাদের অধিকাংশই জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতা। এদের সঙ্গে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাও রয়েছেন। মামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন; যাদের অনেকেই কারাগারে। দলীয় কার্যালয়ের পিওন শুধু আলো জ্বালিয়ে রাখলেও নেতা-কর্মীরা থাকেন না। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ২০-দলীয় জোটের টানা হরতাল-অবরোধ চলাকালে বগুড়ায় ৬৭টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়ে পাঁচ ব্যক্তি নিহত ও ২৪ জন আহত হন। এসব ঘটনায় ৭৩টি মামলা হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মামলার কারণে নেতা-কর্মীরা অনেকে জেলে এবং পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে দূরত্ব বজায় রেখেছেন।

বিষয়: বিবিধ

৭৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File