৬৭ বছরে আওয়ামী লীগ। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ তারা ষ্ট্রক্ষমতায়

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ২৩ জুন, ২০১৫, ০৫:৩৯:৫০ বিকাল



৬৬ বছর পেরিয়ে ৬৭- তে পা রাখল বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠা বাঙ্গালিদের অধিকার আদায়ে ১৯৪৯ সালের এই দিনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে জন্ম হয় এই দলটির। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে নিয়েছে একেকটি ইতিহাস। ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধসহ সবক্ষেত্রেই রয়েছে এই দলটির ভূমিকা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ নানা সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ছিল অগ্রগণ্য। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ তারা রাষ্ট্রক্ষমতায়। আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই নেতৃত্বে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ সংঘঠিত হয়। ৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬-দফার আন্দোলনের পর ৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগকে নানামুখী ভাঙ্গন ও ষড়যন্ত্রের কবলে পড়তে হয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পরবর্তিতে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এতে ভাঙ্গনের মুখোমুখি হতে হয় দলটিকে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ প্রথম সারির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং একাংশের সংস্কার তৎপরতায় কিছুটা সঙ্কটে পড়ে দলীয় কার্যক্রম। তবে সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও মহাজাট বিজয় অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি গঠিত হয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংবিধান রক্ষার নির্বাচন করে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত, আধুনিক বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর সুখী, সমৃদ্ধ ডিজটাল বাংলাদেশ- গড়াসহ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগ।

বিষয়: বিবিধ

৭৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File