ভোজ্য তেলের চাহিদা মিটাতে পতিত জমিতে সূর্যমুখীর সফল চাষ
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:১০:১১ রাত
পাথরঘাটায় রবি মৌসুমে যে জমি এতদিন পতিত থাকত, সে মাঠ এখন ভরা সূর্যমুখী ফুলে। এবছর সেখান থেকে ২০৯ টনের বেশি তেল উত্পাদন সম্ভব। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর পরবর্তী সময় থেকে সরকার এবং ব্র্যাকসহ বিভিন্ন সংস্থা উন্নতজাত ও আধুনিক কলাকৌশলের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে কৃষির প্রতি মনোযোগী করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর ফলে পাথরঘাটায় এখন এক ফসলির স্থলে তিন ফসলী হিসেবে জমি চাষ করছে কৃষকরা। সিডর পরবর্তী প্রতি বছর বিশেষ করে সূর্যমুখী ও ভুট্টার চাষ করে এ এলাকার কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া কৃষকদের অনুকূলে থাকায় ৩৩২ একর জমিতে ৯ হাজার ৯৬০ মণ সূর্যমুখী ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ৭৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। যা থেকে প্রায় ১৮০ টনের বেশি তেল উত্পাদন করা সম্ভব হবে। সূর্যমুখী থেকে যে তেল আসে তা একেবারেই ভেজালমুক্ত। সূর্যমুখীর খাঁটি তেলকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারিভাবে সূর্যমুখী চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এর ফলে এলাকার সূর্যমুখীর চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, চাষিরা লাভবান হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সকল সেক্টর যদি আন্তরিকতার সাথে কৃষি এবং কৃষকদের প্রতি মনোযোগী হয় তাহলে শুধু সূর্যমুখী কেন কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটবে বাংলাদেশে। সূর্যমুখীর এই সফল চাষে এক দিকে যেমন ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ হবে তেমনি কৃষক অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন