মোবাইল সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ২৬ মার্চ, ২০১৫, ০৪:২৭:০৮ বিকাল
শুরুতে কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরছি। আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে আরও এক বিলিয়ন নতুন মুঠোফোনের গ্রাহক তৈরি হবে, যা কিনা মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাকে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়নে নিয়ে যাবে। সম্প্রতি স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হওয়া ‘বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস’-এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এবার যদি আমাদের দেশের দিকে তাকাই, তাহলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে দেশের মুঠোফোন সংযোগের সংখ্যা পৌঁছায় ১২ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজারে। বাংলাদেশের সব কটি মুঠোফোন অপারেটর তৃতীয় প্রজন্মের ইন্টারনেট প্রযুক্তি (থ্রিজি)-সুবিধা দেওয়ায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে। মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের গণমাধ্যমগুলো তাদের কনটেন্ট পরিষেবা আরও বাড়াতে পারে। চর্চা করতে পারে মোবাইল সাংবাদিকতা। দেশে এখন শুধু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাই দুই কোটির ওপরে। আর ৩৫ বছরের নিচে তারুণ্যের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। অর্থাৎ স্মার্টফোনের কদর ভবিষ্যতে আরও বাড়তে থাকবে। সাধারণত স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা পছন্দের অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ দিয়ে ছবি তোলা, ভিডিও বানানো, সামাজিক যোগাযোগের সাইট ভিজিট করা অথবা ইন্টারনেটে দ্রুত বার্তা আদান-প্রদান ও কথা বলার কাজ করে থাকেন। এ ছাড়া স্মার্টফোনের সাহায্যে আজ গণমাধ্যমের সংবাদ জানার কাজ আগের চেয়ে অনেক সহজতর হয়েছে। তবে স্মার্টফোন এখন আর এসব কাজের মধ্যেই থেমে নেই। অনেক বড় বড় কাজই করা হচ্ছে স্মার্টফোন দিয়ে। পশ্চিমা বিশ্বের নামীদামি গণমাধ্যমের বার্তাকক্ষে সংবাদ পৌঁছে দিতে স্মার্টফোন নিয়মিত ব্যবহৃত হচ্ছে। এই যেমন বিবিসি তাদের প্রযুক্তিবিষয়ক অনুষ্ঠান ক্লিকসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পুরোটাই ধারণ ও সম্পাদনার কাজ করেছে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। গণমাধ্যমের গতি-প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে অনেক উপকারী অ্যাপ। মোবাইল সাংবাদিকতার গুরুত্ব সবার কাছে পৌঁছে দিতে তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর সবার আগে এগিয়ে আসা উচিত।
বিষয়: বিবিধ
৬৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন