বেগম জিয়া কি জানেন তার অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অভিপ্রায়ের কারণে দেশে চার কোটি ছেলে মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ০৯ মার্চ, ২০১৫, ০৪:২৭:১২ বিকাল
হরতাল এখন আর কেউ তেমন একটা পাত্তা দেয় না। ক্ষতি যা হচ্ছে তা হচ্ছে মূলত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার। পনের লাখ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সময়মতো তাদের পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি। স্কুলের বাচ্চারা সপ্তাহের পাঁচ দিন ক্লাসে যেতে পারে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। বিএনপি-জামায়াতের নেতা-নেত্রীদের কোন অসুবিধা নেই। কারণ তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা এই দেশে পড়ালেখা করে না। বেগম জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কুয়ালালামপুরে হঠাৎ মৃত্যু হলে তার মৃতদেহের সঙ্গে স্ত্রী ও দুই মেয়ে দেশে আসে। কোকোর দাফন শেষ হলে দু’দিনের মাথায় মা-মেয়ে কুয়ালালামপুরে ফিরে যায়। কারণ বেগম জিয়ার দুই নাতনির পরীক্ষা। বুধবার কোকোর চেহলাম অনুষ্ঠিত হলো। তার স্ত্রী বা সন্তানরা কেউ আসেনি। কারণ বাচ্চাদের পরীক্ষা। বেগম জিয়া তার নাতনিদের পরীক্ষা নিয়ে বেশ যত্নশীল। কিন্তু তিনি কি একবারও চিন্তা করেছেন তার কারণে দেশের পনের লাখ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সময়মতো তাদের পরীক্ষা দিতে পারেনি। এই বছর বাংলাদেশের হাজার হাজার ‘ও’ লেভেল পরীক্ষার্থী তাদের পরীক্ষা হতে বঞ্চিত হয়ে এক বছর পিছিয়ে গেছে। বেগম জিয়া কি জানেন তার অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার অভিপ্রায়ের কারণে দেশে চার কোটি শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? সে দিন তারই এক ডাকসাইটে নেতা, সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন বললেন, কিসের কী পরীক্ষা? জাতি এখন অন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ব্যস্ত। এক সময় বিএনপি হতে স্বেচ্ছায় বের হয়ে যাওয়া কর্নেল অলি আহমদ বলেন, পরীক্ষা দু’মাস পিছিয়ে দিলে কোন ক্ষতি নেই। তিনি বর্তমানে বেগম জিয়ার ২০ দলীয় ঐক্যজোটের একজন জাদরেল সদস্য। বিএনপি হতে বের হয়ে তিনি বলেছিলেন, মা ভাল হলে সন্তানরাও ভাল হয়। মা-ছেলে তিনজনই বদমাশ। বেগম জিয়ার এককালের শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক নিউইয়র্কে এক দলীয় সভায় বলেছেন, এই মুহূর্তে কতজন মারা গেল আর অর্থনীতির কত ক্ষতি হলো তা হিসাব করার সময় নেই। এখন শেখ হাসিনাকে উৎখাত আন্দোলন চলছে। তাহলে একবার ভেবে দেখুন, এই ধরনের নেতাদের কাছ থেকে দেশ কি আশা করতে পারে?
বিষয়: বিবিধ
৮৪১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন