এটা কি একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদের পদ্ধতি?
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:১৩:২০ বিকাল
গতকাল দেশে পালিত হলো ভাববাসা দিবস, তার আগের দিন পহেলা ফাল্গুন। রাজধানীতে হয়ত মুষ্টিমেয় কিছু লোক অনেক সেজে গুজে তা পালন করার চেষ্টা করেছে এবং কেউ কেউ তাতে ভিন্ন আনন্দ আনার চেষ্টা করেছে কিন্তু সাড়া মিলেছে কতটুকু? বাঙ্গালী উৎসব পালনে নিজেদের বিলিয়ে দিতে খুবই পটু এবং শীতের শেষে ফাল্গুনের এই ক্ষনে সকলের মনেই সেই আনন্দের ধারা বয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আজ কোথায় যেন আনন্দে অপুর্ণতা। হয়ত মুষ্টিমেয় লোক সারাদেশের এই দম বন্ধ করা পরিস্থিতিতে থেকে মুক্ত হতে রঙ্গীন কাপড় পরে পথে নেমেছে। বুক ভরে নির্মল বাতাস নেবার চেষ্টা করেছে কিন্তু তারা কি নির্মল বাতাস পেয়েছে? মুখে হাসি নিয়ে হাসতে চেষ্টা করলেও মনে ভীতি আর চারদিকে পেট্রোল বোমার আতংক। ৪০ দিনের টানা অবরোধে আজ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিকের জীবন থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা, দিনমজুর, চাষী এবং সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ শুধু দুবেলার খাবার জোগাড় করতে দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জামাত-বিএনপি কি এভাবেই আমাদের জীবনকে অচল করে রাখবে? পৃথিবীর কোন দেশে কি একটি গণতান্ত্রিক সরকার উচ্ছেদের এই ফর্মূলা রয়েছে? হরতাল, সমাবেশ, অণশন এসব গণতান্ত্রিক অধিকার এবং তা তখনই গণতন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে যখন তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হয়। কিন্তু নেহাৎ নিষ্পাপ, নিরপরাধ সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলাকে কি কোন সভ্য মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার বলে দাবী করতে পারে? সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে মারা কোন রাজনীতি নয় বরং তা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। জামাত-বিএনপিকে বলছি রাজনীতি আর সন্ত্রাসকে একসাথে মিলিয়ে ফেলবেন না। সাধারন মানুষকে মেরে রাজনৈতিক অধিকার হাসিল করার এ খেলা বন্ধ করুন। শান্তি প্রিয় দেশে আমাদের মত শান্তি প্রিয় জাতিকে দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে দিন।
বিষয়: বিবিধ
৭৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন