শিশুর পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং উন্নত শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মশালায় পাঁচ লাখ নারীর স্বাস্থ্যসেবায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:০২:২২ বিকাল
দেশের সাত জেলার ৪২ উপজেলার পাঁচ লাখ অতি দরিদ্র নারীকে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবার আওতায় আনছে সরকার। একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ওই সন্তানের পাঁচ বছর পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বাবদ নগদ ৪০ হাজার টাকা পাবেন। সে হিসাবে পাঁচ লাখ নারীকে পাঁচ বছরে মোট দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাদের সংস্থার মাধ্যমে এই অর্থ হস্তান্তর করবে। আর এটি নিশ্চিত করা হবে আঙুলের ছাপ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে। ফলে এই টাকা নয়ছয় করার সুযোগ থাকবে না। একজন নারী তাঁর গর্ভকালীন চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রতিবার ২০০ টাকা হারে নগদ অর্থ পাবেন। এরপর সন্তানের জন্মের পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত ওই শিশুর প্রতি মাসে শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য প্রতিবার ৫০০ টাকা করে পাবেন। এরপর দু্ই বছর থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের প্রতি তিন মাস পর গ্রোথ পরীক্ষার জন্য প্রতিবার এক হাজার টাকা করে পাবেন। এ ছাড়া গর্ভবতী নারী ও মায়েরা প্রতি মাসে শিশু পুষ্টি ও উন্নত শিক্ষাসংক্রান্ত কর্মশালায় অংশ নিলে প্রতিবার ৫০০ টাকা করে নগদ টাকা পাবেন। একজন মা সর্বোচ্চ দুটি ভাতা পাবেন। অর্থাৎ কোনো মায়ের শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুটি সন্তান থাকলে তিনি শুধু ওই দুই সন্তানের ভাতা পাবেন। গর্ভকালীন প্রতি সন্তানের জন্য চারবার ২০০ টাকা করে স্বাস্থ্যসেবা ভাতা পাবেন একজন মা। তাছাড়া টাকা হস্তান্তরের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসন জড়িত থাকবে। এই টাকা আদান-প্রদানে পোস্ট অফিসও ব্যবহৃত হবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এই দায়িত্ব নিয়েছে। আর্থিক সংকট ও অসচেতনতার কারণে ৩২ শতাংশ গর্ভবতী মা কমিউনিটি হাসপাতালে যান না। অতিদরিদ্র নারীরা গর্ভকালীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারের কাছ থেকে নগদ সহায়তায় মাতৃমৃত্যু হার কমে আসার পাশাপাশি শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টি সেবার জন্য অর্থ সহায়তায় শিশু মৃত্যুহারও কমে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৬৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন