দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে খরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধার সঙ্গে মিল রেখে উন্নত জাতের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্য বর্তমান সরকারের। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় ফলবে উন্নত ফসল
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ৩০ নভেম্বর, ২০১৪, ০৫:০৬:৪১ বিকাল
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে ও এ অঞ্চলের কৃষি সম্পর্কিত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ৫২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)। ফলে এসব অঞ্চলের কৃষকেরা খরা, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে উন্নত জাতের ফসল ফলাতে পারবে। ‘এডাপটেশন টু ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অব লাইভহুড ইন সিলেক্টেড ডিস্ট্রিক অব সাউথ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত গবেষণা করে নানা জাতের ফসল উৎপাদনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্প এলাকার কৃষকদের কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া তাদের নগদ অর্থ ও উপকরণ বাবদ ৯ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সমুদ্র তীরবর্তী কৃষকদের ফসল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য বিএআরসি বিশেষ গবেষণা পরিচালনা করবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে কি ধরনের ফসল ভালো হবে সে বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা পরিচালনা করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। তাছাড়া এ অঞ্চলের মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি, স্কুল ও পরিবারিক পর্যায়ে অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ করবে সরকার। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূগর্ভস্থ পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চল নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০০৭ সালের সিডরে দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে কারণে আগাম সর্তকতা হিসেবে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার। সরকারের এমন উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় খরা, লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধার সঙ্গে মিল রেখে উন্নত জাতের বীজ উদ্ধাবনে উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে উপকূলীয় কৃষকরা।
বিষয়: বিবিধ
৮০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন