একটু সচেতন হলেই রক্ষা পেতে পারে মহা মূল্যবান জীবন। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:০০:৪৫ বিকাল
প্রত্যেকেরই সংসার জীবনে একটা অবস্থান রয়েছে। যার যার অবস্থানে থেকে সে একটা মুল্যবান ভূমিকা রেখে চলেছে। কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আবার কেউবা একটু কম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে সারা দেশে সাড়ে ১৫ লাখ যানবাহনের নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে প্রায় এক লাখ যানবাহন চলাচল করে না। বাকি সাড়ে ১৪ লাখ যানবাহনের জন্য ১০ লাখ চালকের লাইসেন্স আছে। অর্থাৎ সাড়ে চার লাখ চালকের কোনো লাইসেন্স নেই। এসব চালকের ভুয়া লাইসেন্স রয়েছে বলে সহজেই অনুমেয়। গাড়ি চালানোর অন্তত দুই ডজন নিয়ম আছে, যেগুলো পড়ে শিখতে হয়। সুতরাং চালক হতে হলে লেখাপড়া জানা আবশ্যক। কেননা চালক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে হয়। গাড়ি চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৩০টি আইন রয়েছে। এ আইনগুলো সম্পর্কে জানলে চালকরা আরো সতর্কতা অবলম্বন করবেন।প্রতিটি সড়কে হার্ড ও সফট শোল্ডার থাকা দরকার। হার্ড শোল্ডার গাড়িকে রাস্তার বাইরে যেতে প্রতিরোধ সৃষ্টি করবে এবং সফট শোল্ডার পথচারীদের প্রতিরক্ষা হিসেবে কাজ করবে। এ ছাড়া রোড মার্কিং, ট্রাফিক সংকেতও গুরুত্বপূর্ণ। হঠাৎ বাঁক নেওয়া কিংবা বড় গাছের জন্য দেখতে না পাওয়া, বাঁকে ওভারটেক করার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির ফিটনেস একটি বড় সংকট। সব যানবাহনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা মূল বডিতে পরিবর্তন করে হয় দৈর্ঘ্যে কিংবা পাশে বাড়িয়ে নিয়েছে কিংবা ওভারলোড করছে। ফলে গাড়ি ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছে না। যানবাহন ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সবার যথাযথ জ্ঞান থাকা চাই।আমরা সবাই যদি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি তাহলে হয়তোবা এ ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি। বেঁচে যেতে পারে আমাদের মহা মূল্যবান জীবনটি।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন