খাল ভরাট, রাজধানী বাসীর সর্বনাশ
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৩:২৭ বিকাল
একটু বৃষ্টির পানিতেই তলিয়ে যায় ঢাকা। রাস্তা থেকে গৃহস্থালি পানি আর পানি। এ পানি যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। আবর্জনা নিয়ে ছুটে চলা ড্রেন আর স্যুয়ারেজগুলো ফুলে ফেঁপে টইটুম্বুর। পানি অপসারণের যোগ্যতাও হারিয়েছে খালগুলো। লাইনের মুখগুলো গিয়ে পড়েছে তথাকথিত কোনো না কোনো খালে। সেসব খালই এখন হয়তো মরা, না হয় আবর্জনার ভিড়ে স্রোতহীন। যেসব খাল একসময় স্থানীয়দের জীবন-জীবিকার উৎস ছিল, খালের দুই কূল ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছিল জনবসতি, নির্বিচারে হত্যার ফলে সেই খালই এখন আধুনিক ঢাকার বাসিন্দাদের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ফলে ঢাকাবাসীকে বর্জ্য আর জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয়ার মতো আর কোনো মাধ্যম অবশিষ্ট নেই। নগরীর বিশাল জনগোষ্ঠীর আবর্জনার ভার বয়ে বেড়ানো খালগুলো ধুঁকে ধুঁকে অনেকটাই নিঃশেষ হয়ে গেছে। চলতি বর্ষা মওসুমে রাজধানীবাসী স্মরণকালের ভয়াবহতম জলাবদ্ধতা সঙ্কট এবং সাথে যুক্ত হয়েছে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। একসময় রাজধানী ঢাকার মধ্য দিয়ে শিরা-উপশিরার মতো প্রবাহিত ছিল ৪৭টি খাল। খালের মাধ্যমেই ঢাকা সংযুক্ত ছিল বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদের সাথে। বৃষ্টির পানি ধারণ ও আবর্জনা নিষ্কাশন, স্থানীয়দের মৎস্যশিকার, পণ্য পরিবহনে নৌচলাচল, দুই পাড়ে শাকসবজির আবাদসহ পানির উৎস হিসেবে ব্যবহার হতো খালগুলি, যা বেশির ভাগই এখন মৃত। আমাদের বর্তমান সিটি কর্পোরেশন মেয়রদ্বয় তাদের সুপরিকল্পিত চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে আগামীতে এই মহানগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করার জন্য নানামুখী কর্মকান্ড হাতে নিয়েছেন। আমারা ঢাকাবাসী তাদের এহেন কর্মকান্ডকে সাদুবাদ জানাই।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন