তালেবানি পেতাত্বার নেপথ্য
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:২১:২১ বিকাল
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা থেকে আসতে শুরু করল বোমা ফাটার খবর। দেশবাসী বিচলিত হয়ে পড়ল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল নিমিষেই। বাংলাদেশের ৬৩টি জেলার তিনশ' স্থানে প্রায় একসঙ্গে ফুটেছে ৫০০ বোমা। প্রায় ১১৫ জন আহত হলেও কারও তেমন গুরুতর ক্ষতি হয়নি বলে কিছুটা স্বস্তি পেলেও ভীতবিহ্বল মানুষ উদ্ভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল আক্রমণের ব্যাপ্তি দেখে। জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি ইসলামী জঙ্গি দল স্বীকার করে নিল হামলার দায়। ইসলামী আইন কায়েমের উদ্দেশ্যে তাদের আক্রমণ। গণতন্ত্র ও মানুষের তৈরি আইন উচ্ছেদের জন্য তাদের সশস্ত্র লড়াই। তারা প্রতিটি স্থানে বোমা বিস্ফোরণের সময় প্রচারপত্রের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরেছিল।গণতন্ত্র, আদালত, প্রচলিত আইনকানুন সবকিছু তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ধর্মান্ধতার হিংস্র যুগে বাংলাদেশকে নিয়ে যাওয়ার ঔদ্ধত্য ছিল তাদের প্রচারপত্রে। ২০০৪ সালের ২৩ মে রাজশাহী শহরে নিষিদ্ধ জেএমবি সশস্ত্র মিছিল করে সরকারের নাকের ডগায়। স্থানীয় বিএনপি নেতা, মন্ত্রী এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দ্রুতই উন্মোচিত হয়ে পড়ে। তখন বিএনপি-জামায়াত জোট শাসন করছে দেশ। তাদের সামনেই জঙ্গি হুঙ্কার সচকিত করে তুলল দেশের মানুষকে। জেএমবি বলতে থাকে ১৭ আগস্টের হামলা তেমন গুরুতর নয়, এ কেবল তাদের শক্তি প্রদর্শনের অতি প্রাথমিক স্তর। পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি একের পর এক আত্মঘাতী হামলা হলো জেলা আদালতে। বিচারকরা হয়ে উঠলেন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু। জামায়াত ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কোলে বেড়ে ওঠা ব্যক্তিরাই তৈরি করেছে জেএমবি। বিএনপির রাজনৈতিক জোটে তারা শামিল এবং এভাবে এ দলটিও তাদের অপরাধের ভাগীদার হয়ে পড়েছে। জঙ্গি দলের উত্থান ও প্রসারের গতি-প্রকৃতি থেকে পরিষ্কার হয়ে ওঠে বাংলাদেশে তালেবান প্রেতাত্মার জন্মে হাত রয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোটের। তালিবানি দানবকে রুখতে আরও সচেতন হতে হবে দেশের মানুষকে।
বিষয়: বিবিধ
৫৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন