নেতাদের প্রতি বিশ্বাসে ঘুনে ধরেছে বিএনপি নেত্রীর

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৪ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৪৬:০৪ দুপুর

বিএনপিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার নিয়েছে। দল ভাঙার ষড়যন্ত্রের আলোচনা শুরু হওয়ায় সর্বস্তরে দেখা দিয়েছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। মামলা-হামলায় জর্জরিত হয়ে সাজা হওয়ার আতঙ্কের মধ্যে আছেন সিনিয়র নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় ফোরামে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন না, উপরন্তু ফোনের আলাপ পর্যন্ত ফাঁস হওয়ায় বেকায়দায় পড়ছেন। যেনতেনভাবে পুনর্গঠনের চেষ্টায় দলে দেখা দিয়েছে বিদ্রোহ। চতুর্মুখী অস্থিরতা নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও হতাশ। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগ থেকেই বিএনপিতে অস্থিরতা শুরু হয়। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘমেয়াদের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর তা চরম আকার ধারণ করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ভাঙন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সতর্ক পথচলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন। দলের সব নেতাকে তিনি এখন আর আগের মতো বিশ্বাস করতে পারছেন না। এ কারণে সব ঠিক হওয়ার পরেও ওমরাহ হজ পালনে তিনি সৌদি আরব যাননি বলেও রাজনৈতিক মহলে আলোচনা আছে। চেয়ারপারসনের কাছে তথ্য আছে, আগামী বছরের শুরুতে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন করতে আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ আছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। সেই নির্বাচনে বিএনপির মাথাচাড়া দেয়া ঠেকাতে শুরু হয়েছে দল ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রকারীরা সাফল্য পেতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। কারা কিভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন এসব তথ্য অবশ্য চলে যাচ্ছে বিএনপি প্রধানের কাছে। তাই ভাঙন ঠেকাতে একটি কালো তালিকাও তৈরি করেছেন তিনি। দলের বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এই তালিকা এখনই প্রকাশ না করলেও যে কোনো সময় ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারেন বিএনপি প্রধান। সূত্রমতে, ভাঙন নিয়ে বিএনপির হাইকমান্ড যেমন দুশ্চিন্তায় তেমনি দলের ভালোমন্দের বিষয়ে কোনো ফোরামে আলোচনা করার সুযোগ না থাকায় অস্বস্তিতে আছেন সিনিয়র নেতারা। সুবিধাবাদী ও বিতর্কিত কয়েকজন ছাড়া সিনিয়র অনেক নেতাই ভাঙনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু এই প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলায় দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে না পেরে অনেকে হতাশ। দলে সন্দেহ-অবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ায় অনানুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক করতেও তারা ভয় পাচ্ছেন। আর একের এক ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারও নিরাপদ মনে করছেন না তারা। অস্থিরতা বাড়ার অন্যতম কারণ ৮ বছরের বেশি সময় বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এর মধ্যে চলছে নির্যাতনের স্টিমরোলার। একের পর এক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমতায় যাওয়ার আশা কমে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের বাঁচাতে তৃণমূলের খবর রাখছেন না। এ কারণে তৃণমূলকে আশার বাণী দিয়ে আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। এজন্য দলের প্রায় সব পর্যায়ে একটাই প্রশ্ন কিভাবে এই প্রতিকূল অবস্থা নিরসন সম্ভব?

বিষয়: বিবিধ

৮৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File