সব ধাপ অতিক্রম করে স্থল সীমান্ত চুক্তি এখন বাস্তবায়িত হওয়ার পথে
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১০ মে, ২০১৫, ০৮:১৫:৩০ রাত
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থল সীমান্ত যা পৃথিবীর পঞ্চম দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত। সুদীর্ঘকাল থেকে এটি ছিল বিরোধপূর্ণ, চরম জটিল ও সমস্যাসঙ্কুল এক সীমান্ত। স্থল সীমান্ত চুক্তি এখন সব ধাপ অতিক্রম করে বাস্তবায়িত হওয়ার পথে। এ সীমান্তের প্রতিটি বিন্দু এখন স্থায়ীভাবে যথাযত চিহ্নিত ও মীমাংসিত। ফলে বাংলাদেশ তার নিজস্ব ভুমির প্রতিটি কণায় সার্বভৌমত্বের অধিকার প্রয়োগের চিরস্থায়ী সুযোগ পেয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে স্বাধীনতার মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু ও তার যোগ্য মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক তৎপরতা, উদ্যোগ, নেতৃত্ব, দৃঢ়তা ও ঐকান্তিক ইচ্ছার কারণে। মুক্তিসংগ্রামে বিজয়, স্বাধীনতা অর্জন, মাতৃভাষা দিবসকে বৈশ্বিকীকরণ, সমুদ্র বিজয় ও সীমান্ত চুক্তি করে দেশের আয়তন বাড়ানো – সবই এ দু’জনের অবদান। বঙ্গবন্ধুই ১৯৭৪ সালে ভারতের সাথে এ স্থল সীমান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন। বাংলাদেশের সংসদে তখনই এ চুক্তি পাশ হয়ে গিয়েছিল। এরপর ছিল বাস্তবায়নের পালা। কিন্তু কিছু কাপুরুষ রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সে প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ক্ষমতা দখলকারী সামরিক শাসকরা এ চুক্তি বাস্তবায়নের কথা ভারতকে বলার সাহসই করেনি কখনো যদিও ভারত নিয়ে দেশের ভিতর নোংরা রাজনীতি করে তারা ফায়দা লুটেছে। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া বিএনপির নেত্রী খালেদার ভাবনায়ও সীমান্ত সমস্যার বিষয়টি কখনো ছিল না। অথচ গতকাল তিনি হঠাৎ করে বলে বসলেন যে, এটা কোন রাজনৈতিক দলের অর্জন নয়, এটা বাংলাদেশের জনগণের অধিকার। স্বৈরাচারী স্বামীর মতো সেও শুধু নির্বাচনকালে ভারত ইস্যু নিয়ে খেলেছে, ধর্ম ও ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশের মানচিত্রের রূপরেখা সুনির্দিষ্ট করতে ও অপদখলীয় ভূমি উদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে এই সীমান্ত চুক্তি এখন বাস্তবায়নের পথে। সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে হাসিনার সরকার যে নিরলস ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যেভাবে ভারতের উপর অব্যাহত চাপ প্রয়োগ করেছে তারই দরুন চুক্তিটি এখন চুড়ান্ত সাফল্য অর্জনের পথে।
বিষয়: বিবিধ
৬২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন