সরকারের উদ্ভাবিত কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য। রপ্তানি হচ্ছে চাল, খাদ্য উৎপাদনে রেকর্ড

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০৪:০৭:৪৮ বিকাল

বাংলাদেশ শুধু ডিজিটালের দিকেই এগোচ্ছে না। খাদ্য উৎপাদনসহ কৃষিতেও এগিয়ে যাচ্ছে তাল মিলিয়ে। বহুমুখী সমস্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেও এ খাতে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। ছোট আয়তনের এই দেশ এখন বছরে চার কোটি টন চাল উৎপাদনে সক্ষম। দুই বছর আগেও যা ছিল সাড়ে তিন কোটি টনের নিচে। অল্প সময়েই খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য এনেছেন দেশের কৃষকরা। ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে চাল রপ্তানি করে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে আরেকটি মাইলফলক। কৃষির উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবিকার ধারা। নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনে অর্থনীতির নতুন এক দিগন্ত দেখছে দেশবাসী। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জ্বলন্ত উদাহরণ এ বছর শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি। ধারাবাহিকভাবে এ সাফল্যের কারিগর বর্তমান সরকারের উদ্ভাবিত নতুন নতুন কৃষি যন্ত্র/প্রযুক্তি, সময়মত সার, বীজ সরবরাহ এবং এ দেশের লাখ লাখ সাধারণ কৃষক। আর কৃষকের নেপথ্যে কাজ করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) অভিজ্ঞ গবেষকরা। কৃষকের শ্রম, কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি, কৃষিবিজ্ঞানীদের গবেষণা ও সরকারের সদিচ্ছায় ধান চাষ ও চাল উৎপাদনের এ রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। আর এতে পাল্টে গেছে জাতীয় প্রবৃদ্ধি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট বা জিডিপির গ্রাফ। জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে শুধু কৃষি খাতে জিডিপির অবদান ২১%। আর কৃষিশ্রমে ৪৮%। কৃষির সাব-সেক্টরসহ এ পরিসংখ্যান ৫৬%। বিজ্ঞানের আবিষ্কার, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কৃষকের ঘামের সমন্বয় ছাড়া কৃষিতে সাফল্য সম্ভব নয়।এ তিনের সমন্বয়ের ফলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ।

বিষয়: বিবিধ

৭৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File