বিদ্যুত উৎপাদন, শিল্প এবং অন্যান্য খাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত সরকারের
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৪৪:৩৬ বিকাল
বহুল প্রতিক্ষিত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল ব্যবহার টার্মশিট স্বাক্ষর হয়েছে। পেট্রোবাংলা এবং এক্সিলারেট এনার্জি পার্টনারশিপের মধ্যে টার্মশিট স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্য দিয়ে আমদানি করা গ্যাস ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হলো। এখন প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সঙ্কট রয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদন-শিল্প এবং অন্যান্য খাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য এলএনজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে সরকার। টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে মহেশখালীতে। চুক্তি পরবর্তী নয় মাস তারা সমীক্ষা এবং নকশা প্রণয়ন করবে। পরবর্তী ১৬ মাসে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। মোট ২৫ মাসের মধ্যে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করতে চায় তারা। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে টার্মিনালটি গ্যাস সরবরাহ শুরু করবে। যখন যে দামে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজি বিক্রি হয় ঐ দামেই এলএনজি কেনা হবে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম রয়েছে সাত ডলারের মতো এর আগে যা ১৫ ডলার ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমায় এলএনজির দাম কমে আসছে। প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের জ্বালানি চাহিদা আরও বাড়বে। টার্মিনালটির ধারণ ক্ষমতা হবে দুই লাখ ৩৮ হাজার ঘনমিটার। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করতে পারবে। এ জন্য প্রতিদিন রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ডলার খরচ পড়বে। এর মধ্যে স্থায়ী ব্যয় দৈনিক ধরা হয়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ১৮৬ ডলার, পরিচালনা ব্যয় ৪৫ হাজার ৮১৪ ডলার এবং অন্যান্য ব্যয় ৩২ হাজার ডলার। এই চুক্তি ১৫ বছর বলবৎ থাকবে। প্রতি ইউনিট গ্যাসের রিগ্যাসিফিকেশনের জন্য দশমিক ৪১ ডলার লাগবে। অন্যান্য সকল খরচ যোগ করে যা দাঁড়াবে দশমিক ৪৭৪ ডলার। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুত উৎপাদন, শিল্প এবং অন্যান্য খাতে গ্যাসের পর্যাপ্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, দেশ এগিয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন