পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ সরকারের
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৫০:৪৩ বিকাল
এবার পশ্চিমবঙ্গে রফতানি বাড়াতে চান বাংলাদেশী উদ্যোক্তারা। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গে সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বাংলাদেশী উদ্যোক্তারাও নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের জামদানি, ইলিশ মাছ, আম, সবজি, ব্যাটারি, সিমেন্ট, গার্মেন্টস, রড, মসলা, বিস্কুট, চা, চাল এমনকি কাঁচামরিচেরও চাহিদা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু শুল্ক-অশুল্কজনিতসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে পশ্চিমবঙ্গে রফতানি বাড়ছে না। এবার মমতার সফরকে কেন্দ্র করে এ সব সমস্যার সমাধান চান বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন গলানো গেলে দুদেশের অনেক অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান সম্ভব। একইসঙ্গে বাণিজ্যও বাড়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে। আর এ কারণে মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা নিজেদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এ জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ভাষা, আচার-আচরণসহ নানা বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে মিল রয়েছে। এ কারণে এদেশে তৈরি প্রায় সব পণ্যের চাহিদা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু নানা ধরনের জটিলতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে রফতানি বাড়তে পারছে না। বাংলাদেশের ব্যাপারে মমতা ব্যানার্জির নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে গত কয়েক বছরে রাজ্যটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের তেমন কোন ভাল খবর নেই। অথচ বাংলাদেশের বড় মার্কেট হতে পারে কলকাতা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মমতার সফরকে গুরুত্ব দিয়ে তিস্তা চুক্তি, বর্ডার হাট, সীমান্ত সমস্যাসহ কিছু বাণিজ্যিক চুক্তি করা যায় কি-না সেটি সরকারী পর্যায়ে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে, এদেশের জামদানি ও ইলিশ মাছের কদরের শেষ নেই। কলকাতাবাসী সব সময় বাংলাদেশী পণ্য পেতে চায়। কিন্তু নানা ধরনের বাধা বিশেষ করে মাল্টিপল ভিসা, শুল্ক-অশুল্কজনিত সমস্যা, কানেকটিভিটি এবং মোটরভেহিক্যালস চুক্তি না থাকায় সেখানে আমাদের পণ্যের রফতানি বাড়তে পারছে না। মমতা ব্যানার্জির সফরে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো এবার সমাধান হবে এবং এতে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে দেশবাসী আশা পোষণ করছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন