খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ নাটক এখন স্বেচ্ছাবন্দী নাটকে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:০৬:৪৬ দুপুর



ডাইনী খালেদাকে জনরোষ থেকে রক্ষা বিএনপি তার কার্যালয়ে দফায় দফায় কাঁটাতার দেয়া শুরু হয়েছে। অবরুদ্ধ নাটক এখন স্বেচ্ছাবন্দী নাটকে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু পেট্রলবোমায় আহত ক্ষুদ্ধ জনগণের রোষানল থেকে কাঁটাতার কি ডাইনী খালেদাকে রক্ষা করতে পারবে? শুধু কাঁটাতার নয়, অর্ধশতাধিক মানুষকে পেট্রলবোমায় হত্যা করে, শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে দগ্ধ করার পর ডাইনী খালেদার নির্মমতাকে ঢেকে দিতে সরব হয়েছে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বিএনপিপন্থীরা। তাদের মুখে আসছে সংলাপের প্রশ্ন। যারা সন্ত্রাস চালিয়েছে, যারা পেট্রলবোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের সাথে সংলাপে বসলে নাকি শান্তি আসবে? আসলে কি সংলাপে কোন শান্তি আসবে? নাকি সংলাপে শান্তি খোঁজার নামে সন্ত্রাসী, পেট্রলবোমাবাজদের অপরাধকে লঘু করার চেষ্টা চলছে? ২০১৩ সালে বিএনপি জামায়াতের তান্ডবের কথা নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যাইনি। সেই তান্ডবের পর জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিএনপিকে জঙ্গি জামায়াতের সংশ্রব পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফেরত আসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া কি সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে? কারো কোনো আহ্বানে সাড়া দেয়নি খালেদা জিয়া। উল্টো বিএনপি নেতাদেরই ছাড়তে শুরু করেছে খাম্বা তারেক ও ডাইনী খালেদা, বেশি করে আঁকড়ে ধরেছে জঙ্গি জামায়াতকে। খাম্বা তারেক, ডাইনী খালেদা আর জঙ্গি জামায়াতই এখন পেট্রলবোমা সন্ত্রাস চালিয়ে আতংক সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিএনপির নেতারা শুধু দর্শকের ভূমিকায় ‘ছেড়ে দেব কি দেব না, ছেড়ে দিলে কি করবো’ জাতীয় কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে মাঝে মাঝে গায়েবী বক্তব্য নিয়ে হাজির হতে শুরু করেছে। ডাইনী খালেদা জঙ্গি জামায়াতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে অঘোষিত চূড়ান্ত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। তাই সংলাপে কোন শান্তি আসার সম্ভাবনা নেই। বরং সন্ত্রাসবাদীদের শক্ত হাতে দমন করেই শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে, গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সেইসাথে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের নির্মূল করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

৮৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File