নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের হোসিয়ারি কারখানা
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৪৪:০৩ সন্ধ্যা
উঠেছে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের হোসিয়ারি কারখানা, যা এতদঞ্চলের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে। এ সমস্ত কুটির শিল্পে কাজ করে স্থানীয় দক্ষ এবং অদক্ষ প্রায় ৫ হাজার কারিগর। তাদের উৎপাদিত শীতবস্ত্র শুধু এতদঞ্চলের চাহিদাই মেটায় না বরং তা দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। কোচাশহর ইউনিয়নের নয়ারহাট হচ্ছে এসব হোসিয়ারি শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের বেচাকেনার সবেচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র। এখানে প্রায় আড়াই শ’ শীতবস্ত্রের দোকান রয়েছে। প্রত্যেক দোকান মালিকের রয়েছে নিজস্ব কারখানা। যেখানে প্রতিদিন চলে খুচরা এবং পাইকারি বিক্রয়। কোচাশহর ইউনিয়নের এসব কারখানায় সোয়েটার, কার্ডিগান, ব্লাউজ, মাফলার, মোজা, ছোটদের পোশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরি হয়। পশমী সুতায় তৈরি এসব শীতবস্ত্র ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের সর্বত্র সরবরাহ করা হয়। এখানে একটি মোজা তৈরির মেশিন নিয়েই যেমন একজন তার কারখানা শুরু করেছে, তেমনি আবার কেউ শতাধিক সোয়েটার তৈরির মেশিনসহ তার কারখানা চালু করেছে। কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এমন কারখানা মালিকের সংখ্যাও কম নয়। এখানকার উৎপাদিত শীতবস্ত্র দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো চাহিদার একটি বড় অংশই পূরণ করে থাকে। এই শিল্পের মাধ্যমে শুধু নিজেদের চাহিদা মেটানো নয়, বেকারত্ব দূরীকরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৮৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন