যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেন ও কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেলের মেগা প্ল্যান

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৫৯:২৫ সন্ধ্যা

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে। চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকা এবং কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রতিষ্ঠিত হবে। শহরের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও আসবে আমূল পরিবর্তন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হবে পৃথক চারটি বৃহৎ প্রকল্প। রেল ও সড়ক যোগাযোগ ছাড়াও কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ হবে টানেল। চট্টগ্রামকে অর্থনীতির হাব চিন্তা করে বর্তমান সরকার নতুন মেয়াদ শুরু করার পর বেশ কয়েকটি মাঝারি এবং বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দিয়েছে। এর আগে আগামী দশ বছরের মধ্যে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুত উৎপাদন জোন হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতেও ব্যয় হবে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, কক্সবাজারের ঘুনধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেল লাইন, মিয়ানমার-চীনের সঙ্গে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সড়ক কানেকটিভিটি, মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ, পতেঙ্গা-কালুরঘাট মেরিন সড়ক, চার লেনের কর্ণফুলী সেতু সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করবে। এ বছরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়ে যাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশের টানেল। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে চার লেনের শাহ আমানত সংযোগ সেতু সড়কের। আগামী জুন থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামে সড়ক যোগাযোগ চার ঘণ্টায় সম্ভব হবে। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

৯৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File