জানমালের নিরাপত্তা, নাশকতা ও সহিংসতা বন্ধে আরও কঠোর হওয়া উচিত সরকারের
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:১৪:৩৪ রাত
জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে চলমান অবরোধ-হরতালে নাশকতা ও সহিংসতা বন্ধে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানের দিকেই যাচ্ছে সরকার। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্র রক্ষার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। টানা অবরোধ-হরতালের নাশকতায় ইতোমধ্যে ৫৮ জনের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বহির্বিশ্বেও প্রচারমাধ্যমের কল্যাণে বিএনপি সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে পাকিস্তানের কনফেডারেশন বানাতে জামায়াতের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়া হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া জামায়াত দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন। এবং এই সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র করতে তারা সব ইনস্টিটিউশনকে ধ্বংস করতে চান। এ কারণেই এসএসসি পরীক্ষায় বাধা দিতে অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মানুষ হত্যার আর সুযোগ না দেয়ার লক্ষ্যেই সরকারের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যা করছেন তা গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। নাশকতামূলক কার্যক্রম থামানো গেলে ২০ দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি আপনা আপনিই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়বে। দেশবাসী জানতে চায় এসব হত্যা, জ্বালাও, পোড়াও কর্মকাণ্ডের নির্দেশদাতা কে? তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার অবস্থান থেকে সরে না এলে সরকার সব ধরনের আইনি পদক্ষেপকে আমরা নিরীহ জনগণ স্বাগত জানাব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার সরকারের কঠোর অবস্থানে স্বাধীনভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বিষয়: বিবিধ
৫৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন