গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রফতানিতে ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৪৮:০৩ দুপুর
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকিজিং খাত থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। গত অর্থবছরে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এ খাতে আমাদের যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানাও গড়ে তোলা প্রয়োজন। দেশে ইতোমধ্যে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে রফতানিমুখী ১৩শ’ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব তৈরি শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের পণ্য পোশাক শিল্পে সরাসরি ব্যবহৃত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে প্রায় ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানি হয়েছে। আশির দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু আর নব্বইর দশকে এ খাতের যাত্রা শুরু হয়। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত। এটি আমদানি বিকল্প এবং রফতানিমুখী শিল্প। তৈরি পোশাকশিল্পের ব্যাক ওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এ শিল্প প্রায় দুই লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। এতে মূল্য সংযোজন হার শতকরা ৪০ ভাগের বেশি। প্রতিবছর শতকরা ১৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে এ শিল্পের। জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং, ওষুধ, চামড়া, সিরামিক, প্লাস্টিক, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ৬শ’ শ্রমিক আর ১২ হাজার ডলার রফতানি নিয়ে আমাদের পোশাক খাতে যাত্রা শুরু হয়। এখন ৪৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে। ৫০ বিলিয়ন রফতানি করতে পারলে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতের অবদানও থাকবে ৮-১২ বিলিয়ন ডলার।
বিষয়: বিবিধ
৯৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন