রফতানি বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ০৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৪:১৪:১২ বিকাল
বর্তমান বস্ত্র খাতে নতুন পণ্য রফতানির বিপরীতে ৩ শতাংশ, হাড়ের গুঁড়া রফতানির বিপরীতে ৫ শতাংশ, হাল্কা প্রকৌশল রফতানির বিপরীতে ১৫ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্যদ্রব্যাদি রফতানির বিপরীতে সাড়ে ১২ শতাংশ, জাহাজ রফতানির বিপরীতে ৫ শতাংশ, পেট বোতল-ফেক্স রফতানির বিপরীতে ১০ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্যাদি প্রকারভেদে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে জাহাজীকৃত হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রফতানির বিপরীতে বরফ আচ্ছাদনের হার অনুযায়ী নগদ সহায়তা প্রদান করা হতে পারে। রূপকল্প-২১ অনুযায়ী ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পণ্য বহুমুখীকরণসহ নগদ সহায়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আমদানি-রফতানি নীতিমালায়ও রফতানি বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তৈরি করা হয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। পাশাপাশি দেশের রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রফতানি বাজার সম্প্রসারণের জন্য নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের রফতানি আরও বৃদ্ধির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ, জাহাজ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ফার্নিচার রফতানির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার এ সকল ক্ষেত্রে রফতানি বৃদ্ধির জন্য রফতানিকারকদের চাহিদা মোতাবেক সকল সহায়তা প্রদান করছে। সরকারের উদ্যোগ ও রফতানি বাজার সম্প্রসারণে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব নয়। এছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্য সামনে রেখে ইতোমধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের তথ্য-উপাত্তসহ বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ১৯ বাণিজ্যিক উইংয়ের কাছে দেশভিত্তিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা, রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্যও তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এভাবে রফতানির পরিধি বাড়লে অর্থনীতির ভিত মজবুত হবে।
বিষয়: বিবিধ
১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন