একনায়কসুলভ মনভাবের কারনেই ক্ষোভে দল ছাড়ছেন অনেক সিনিয়র নেতাকর্মী
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫২:৩৪ দুপুর
একনায়কতন্ত্রের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেই চলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ১৯৮২ সালের দিকে গৃহবধূ খালেদা জিয়া সেই যে দলের চেয়ারপারসন হয়েছেন, ৩২ বছর পেরিয়ে ২০১৫ সালেও তিনি বিএনপির একক অধিকর্ত্রী। এদিকে দলের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি একজনকে অঘোষিতভাবে মনোনীত করে রেখেছেন। তিনি তারই পুত্র লন্ডনপ্রবাসী তারেক রহমান। মায়ের পর পুত্র, পুত্রের পর নাতি-নাতনী এ ধারা বিএনপিতে প্রতিষ্ঠিত। আর এ প্রতিষ্ঠিত ধারার জন্য দলের অনেক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ-আশাহত। বিএনপির জন্য প্রাণপাত করলেও এ জনমে বিএনপির চেয়ারম্যান কিংবা চেয়ারপারসন হওয়ার আশা নেই জেনে দল পাল্টানোর বা বিকল্প বিএনপি তৈরির কথা ভাবছেন অনেক সিনিয়র নেতা। রাজনৈতিক ময়দানে গুঞ্জন রয়েছে মওদুদ আহমদ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.) তাদের মধ্যে অন্যতম। খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন হওয়ার পর দলের কাউন্সিল হয়েছে হাতে গোনা কয়েকবার। সেই কাউন্সিলেও খালেদা জিয়ার বিপক্ষে চেয়ারপারসন পদে দাঁড়ানোর সাহস কোনো নেতার হয়নি। বিএনপির অনেক নেতারই অভিমত, আসলে কাউকে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত সাড়ে ৫ বছর ধরে দলের জাতীয় কাউন্সিল করছে না বিএনপি। এমনকি ৩ বছর ধরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকও করছে না দলটি। এ কারণে দলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ তারেক রহমানের ওপর। বেশির ভাগ নেতার মতেই, তারেক রহমানের কারণেই দলের কাউন্সিল হচ্ছে না, নির্বাহী কমিটির বৈঠকও হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। এককভাবে তা নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেন খালেদা জিয়া। তৃণমূলপর্যায়ের বহু ছাত্রদল, যুবদল নেতাই এখন বিএনপির কোনো ভবিষ্যৎ দেখছে না। বছরের পর বছর রাজনীতি করে দলে মূল্যায়ন না পাওয়ায় তাদের মনোবল ভেঙে চুরমার। বেশ কয়েক বছর ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দল পরিচালনার ব্যাপারে ছেলে তারেক রহমান ছাড়া আর কোনো সিনিয়র নেতার মতামত নেন না। এ কারণে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সম্পর্কে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর এ কারণেই, আন্দোলন ও দল গোছানোসহ খালেদা জিয়া যে কাজেই হাত দেন গোপনে সে কাজের বিরোধিতা করেন দলীয় নেতারা। তাই এসব কাজে সফলতা অর্জন করতে পারছেন না খালেদা জিয়া। ওয়ান-ইলেভেনে বিএনপি না ভাঙলেও এবারকার ধাক্কা খালেদা-তারেকের পক্ষে সামলানো কঠিন হবে। কারণ আর কিছুই নয়, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের একনায়কসুলভ মনোভাবই এবার বিএনপিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন