স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশ
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১৫ জুলাই, ২০১৫, ০৪:৪৫:৪৭ বিকাল
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসাটা এক ধরনের প্রমোশন ও সন্তুষ্টির বিষয়। বিশ্বব্যাংক এটলাস মেথড নামের পদ্ধতিতে মাথাপিছু জাতীয় আয় পরিমাপ করে থাকে। একটি দেশের স্থানীয় মুদ্রায় জিএনআই মার্কিন ডলারে রূপান্তর করা হয়। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের গড় বিনিময় হারকে সমন্বয় করা হয়, যাতে করে আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হারের ওঠা-নামা সমন্বয় করা সম্ভব হয়। সে অনুযায়ী মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো- নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন মধ্যম আয়ের, উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং উচ্চ আয়ের দেশ। যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে, তাদের বলা হয় নিম্ন আয়ের দেশ। জাতীয় আয় এক হাজার ৪৬ ডলার থেকে চার হাজার ১২৫ ডলারের মধ্যে হলে সেসব দেশকে বলা হয় নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় চার হাজার ১২৬ ডলার থেকে ১২ হাজার ৭৩৫ ডলারের মধ্যে সেসব দেশকে বলা হয় উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ। আর যেসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১২ হাজার ৭৩৬ ডলারের বেশি, সেসব দেশকে বলা হয় উচ্চ আয়ের দেশ। এত দিন বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল এক হাজার ৪৫ ডলার বা তার নিচে। এখন বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৩১৪ ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশসহ কেনিয়া, মিয়ানমার ও তাজিকিস্তান গত ১ জুলাই থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এসব দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৪৫ ডলারের বেশি। দেশকে এপর্যন্ত এগিয়ে নিতে সরকারকে অনেক বাধা-বিপত্তি পার করতে হয়েছে। আসুন আমরা দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থাকি।
বিষয়: বিবিধ
৮৮২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন