যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে- ‘বিএনপির সিটি নির্বাচন বর্জনে গণতন্ত্রে নতুন করে দৃষ্টি দেয়ার সুযোগ নষ্ট’
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১৩ জুলাই, ২০১৫, ০৩:২৮:১৭ দুপুর
গত এপ্রিল মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর নতুন করে দৃষ্টি দেওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ দপ্তর প্রকাশিত 'বিদেশে ব্যবসা ঝুঁকি-বাংলাদেশ' শীর্ষক হালনাগাদ পরামর্শ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছিল। যুক্তরাজ্যসহ অন্য পশ্চিমা দেশগুলো ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট চলার সময় বিএনপির বর্জনের ঘোষণা- দুটিরই সমালোচনা করেছিল। বিশেষ করে গত মাসেও ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বিএনপির নির্বাচন বর্জনকে 'দুঃখজনক' হিসেবে অভিহিত করে বিষয়টিকে বিরাট লজ্জার বলে মন্তব্য করেন।তবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় অনেক দেশই হতাশা প্রকাশ করেছিল। এ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক সংঘাত ও অনিশ্চয়তার মধ্যে সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। আন্দোলন ছেড়ে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি আবার আনুষ্ঠানিক রাজনীতিতে ফিরেছিল। কিন্তু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা অনেককেই শঙ্কিত করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের দারিদ্র্যের হার কমাতে ভূমিকা রেখেছে। ২০০৫ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে ৩০ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে। ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বড় ক্ষতির শিকার হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫.৬ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশের মধ্যে প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ১৫ বছরে এ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে ছিল।বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দেশের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়। জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আদেশ ভালো। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ৯০ শতাংশ রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।সন্ত্রাসের ঝুঁকি প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসের ঝুঁকি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করে আসছে।
পরিবেশ সুরক্ষায় ব
বিষয়: বিবিধ
৭৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন