পর্যটন শিল্পে নতুন গতি ও এই শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও মজবুত করতে বিশেষ পদক্ষেপ সরকারের

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২৭ জুন, ২০১৫, ০৩:৩০:৩৫ দুপুর

বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প একটি বিশেষ সম্ভাবনাময় খাত। ২০১৪ সালে ৫ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে। অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ৬০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ পুলিশ দ্বারা এত অধিক সংখ্যক পর্যটককে নিরাপত্তা প্রদান সম্ভব নয়। তাছাড়া সাধারণ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ২৪ ঘণ্টাই ব্যস্ত থাকে। সবুজ-শ্যামল বাংলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর এ দেশে ছুটে আসে বিশ্বের নানা দেশের প্রকৃতিপ্রেমিরা। শুধু বিদেশি পর্যটকই নয় দেশিয় পর্যটকরাও দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাশ যাপনসহ ছুটি কাটাতে বেরিয়ে পড়েন সুযোগ পেলেই। কিন্তু দেশি-বিদেশি এসব পর্যটক নতুন জায়গায় অচেনা মানুষের কাছে গিয়ে পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। অনেকে সর্বস্ব খুইয়ে ঘরে ফিরেন ভ্রমণের আকাঙ্খা তুলে রেখে। এ ধরনের বিড়ম্বনা থেকে পর্যটকদের বাঁচানোসহ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে গতি আনার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের নভেম্বরে গঠন করা হয় ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ নামে পুলিশের বিশেষ একটি ইউনিট। নিয়মিত পুলিশেরই একটি অংশ ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট কাজ শুরু করেছে। কিন্তু এদের সকল তত্পরতা পর্যটকদের ঘিরে। শুধু নিরাপত্তাই নয় পর্যটকদের রাত যাপন তথা আবাসন সমস্যাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেও এই পুলিশ কাজ করবে। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব মতে, সারা দেশে ৮০০-এর অধিক পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। যার মধ্যে ২০টির মতো রয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অধিক জনপ্রিয়। এরমধ্যে শুধু কক্সবাজারে প্রতিবছর ১৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে। ২০১৬ সালে ‘ট্যুরিজম বর্ষ’ পালিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে-এ বছরে বিপুলসংখ্যক বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে ট্যুরিস্ট পুলিশ ভূমিকা রাখতে পারবে। এ কারণেই গঠন করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট। আর ইউনিট কার্যক্রমে পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে, তেমনি পর্যটন শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে এখানকার অর্থনীতিতে এর একটি ইতিবাচক ছাপ পড়বে।

বিষয়: বিবিধ

৭২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File