নির্বাচন যেখানে হচ্ছে উৎসবমুখর, সেখানে নীরব বিপ্লব মানেই কি অন্য কিছু?

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২৩ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৫১:১০ বিকাল



বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের হাহাকার দেখতে যাননি। তবে এই বর্বরতাকে তিনি অনায়াসে অস্বীকার করছেন যে, তিনি এসব করাননি। তবে কারা অবরোধ,হরতাল ডেকে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে। আজকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর দেখা যাচ্ছে যে, বোমাবাজির শব্দ হয়ে গেছে স্তব্ধ। প্রচারণাকালে টাউন সার্ভিসের বাস চালক ও হেল্পারদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের হৃদয়ে তো নাড়া দিয়ে উঠবেই কী নির্মমভাবে তাদের সহকর্মীদের পেট্রোলবোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন, পুড়িয়েছেন তার জীবিকার সম্পদ বাহন বাস। যদি প্রচারণার ফাঁকে বার্ন ইউনিটে যান, দেখবেন যারা এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন পাঞ্জা, তাদের দগদগে ক্ষতের দিকে তাকালেই বুঝবেন কী নির্মমতায় তিনি মানুষকে হত্যায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থেকেছিলেন। তাদের স্বজনদের আহাজারি শুনুন, তাতে হয় তো ওনার পাষাণ হৃদয় গলবে না। তিনি অনায়াসে স্বভাবসুলভ মিথ্যাচারকে সামনে এনে বলে ফেলবেনই, এটা সরকারের কাজ। আরো আগের কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু বিগত তিনমাসে সরকারকে উৎখাতে অবরোধ নামক মানুষ হত্যার কর্মসূচি পালন করলেন, অথচ তা তিনি স্বীকার করছেন না। কিন্তু তথ্য উপাত্ত তো বলে সবই ওনার কৃতকর্মের ফলাফল। সরকারের উদারনৈতিক আচরণের ফলে আজ মানুষের কাছে যাবার সুযোগ পেয়েছে। সে নিজের বিচার বুদ্ধি, বিবেক হারিয়ে ফেলেছেন। দেশকে শ্বাপদসংকুল করে তুলেছেন। নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে বাড়াবাড়ি,রাজনৈতিক সততায় অনাস্থা, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা। নির্লজ্জ নীতিহীনতায় আক্রান্ত জোট নির্বাচনকে তাদের চোরাগুপ্তা হামলার পথ হতে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারকে অভিনন্দিত করবে-এমন কৃতজ্ঞতাবোধ তারা লালন করেন না। বোমাতংকমুক্ত চলাফেরার সুযোগটা করে দিয়েছে নির্বাচন। তিনি নির্বাচনে ব্যালটে নীরব বিপ্লব করার জন্য কর্মীদের বলেছেন। নির্বাচন যেখানে হচ্ছে উৎসবমুখর, সেখানে নীরব বিপ্লব মানেই অন্যকিছু। তবে তিনি যদি পেট্রোলবোমা মুক্ত হবার কথা পাশাপাশি বলতেন, তবে স্বস্তি পেতো জনগণ।

বিষয়: বিবিধ

৬৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File