পাটপণ্যের সুদিন ফিরে আসছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৪০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:৩৮:০৬ বিকাল
পাট ও পাটজাত পণ্যের সুদিন ফিরে আসছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত পণ্যের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। মাঝখানে রপ্তানি তৎপরতায় ভাটার টান থাকলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে, যার পুরোটাই পাটের বস্তা। আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে ‘বাধ্যতামূলক প্যাকেজিং অ্যাক্ট’ বাস্তবায়ন করা গেলে সারা বছর আমাদের পাটকলগুলো কর্মমুখর থাকতে পারে। বর্তমানে চটের বস্তার বড় বাজার আফ্রিকার দেশগুলো। এ মুহূর্তে সুদান আমাদের বড় বাজার। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে মোট চাহিদার অর্ধেকও যদি পাটের বস্তা ব্যবহার করা হয় তাহলেও দেশের সব পাটকল সারা বছর ব্যস্ত থাকতে পারে। দেশের সরকারি খাদ্য গুদামগুলোতে ধান, চাল সংরক্ষণের জন্য পাটের ব্যাগ/বস্তা ব্যবহার অনেক বেড়েছে। খাদ্য বিভাগ গত বছর বিজিএমসি থেকে সোয়া তিন কোটি পাটের বস্তা কিনেছে। অনেক দেশে ধান-চাল সংরক্ষণের জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইরান, ইরাক, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপিয়ান বিভিন্ন দেশে এগুলোর চাহিদা রয়েছে। কার্পেটের পেছনে পাটের আস্তরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কার্পেটের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে এর ব্যবহারও বাড়ছে। পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়ায় দেশের সরকারি পাটকলগুলোতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ছয়টি বন্ধ পাটকল চালু করেছে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। পাটপণ্যের সুদিন ফিরে আসছে। পৃথিবীর অনেক দেশ সিনথেটিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে, তারা এখন ঝুঁকছে পাটের প্রতি। বাংলাদেশে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানের পাট হয়।
বিষয়: বিবিধ
৬৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন